“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯

শব্দের নাবিক আমি

।। অভীককুমার দে।।

তুমি ভাবছো পারোর মত পাড়ি দিতে হয়েছে বলে
দেবদাসের মতই অন্য কোনও কোঠাঘরে আমি অথবা
আগুন গিলে পুড়িয়ে দেবো
বুকের কার্ণিশে ঝুলিয়ে রাখা তোমার ছবি !
না, সেকালের দেবদাস আমি হতে পারি না, বরং
কবিতার মুখে তোমার ছবি এঁকে শব্দের নাবিক আমি
ডুবে যাবো নদীর উজানের গান শুনেই।

যেদিন ভাটির দিকে যৌবন হারাবে নদী
দুলতে থাকবে অচল শরীর
হয়তো কবিতাও চিনবে না আগের মত,
আমিও না হয় কৃষ্ণচূড়ার বদলে শিউলি তলায়...

কোন মন্তব্য নেই: