“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সাধ

।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।











সুনীলদার নীরাকে যেদিন প্রথম দেখি
বিপিন পালে কবিতার জঞ্জালে
সেদিন থেকেই আমার ভীষণ সাধ
একটা নীরা চাই আমার জন্যে ।
একটা নীরা, না ঠিক সুনীলদার নীরা নয়
ওকে বুঝে ওঠা বড় কঠিন
 
আমার নীরা হবে সাধারণ,দু'কানেতে দুল।
চপলা
  নয়,ছাপোষা ঘরের মেয়ে , 
হাসবে যখন ,লজ্জা পাবে ফুল।
 
চুল তার ঘন কালো
 
শুরু থেকে শেষ শুধু স্বপ্নের ঢেউ,
আমাকে ভরসা দেবে কানে কানে সে
 
আমিতো আছি তোমার,না থাকুক কেউ।
নীরাকে আমি কতটুকু ভালবাসি
সঠিক উপমা জানি না ।
আকাশের সীমা আছে জানি,সাগরের তল,
 
ভালবাসার মাপকাঠি নেই,তাইতো অচল।
উদ্ভ্রান্তের মত যখন,কলম হাতে আমি
আকাশের শূন্যতায় খুঁজবো শব্দের সন্ধান
 
নীরা এসে বসবে পাশে ।
ঠোঁটে তার শতাব্দীর তৃষ্ণা
জড়িয়ে ধরে পিছন থেকে
 
বলবে আমায়---
আজ তবে এখানেই হোক না ইতি।
শব্দ যেখানে ক্লান্ত, ছন্দ দিশাহারা
নীরা তুমি এসো -- নীরবে
বৃষ্টি হয়ে,সৃষ্টি হয়ে
,আপন মহিমায়।


কোন মন্তব্য নেই: