“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

জীবন

।। অভীককুমার দে।।
(C)Image:ছবি












ক জীবনকে চিনেছি
মানুষের মতো নয় অথচ মানুষের কাছেও থাকে।
ধরতে চেয়েছি, 
পেতে চেয়েছি,
দেখেছিও অনেক,
 
অবশেষে প্রজাপতির মতই রঙমহল
রাজপুত্র আমি,ছুঁতে যাই রঙ
সাজাই
সাজে
অথচ লোকচোখে ঝাপসা হয় দিন।
অতঃপর শেষ আলো ঢেলেও খুঁজি, 
হেঁটে যাই গোঁড়ার দিকে,দেখি--
 
ওখান থেকেই উল্টো পথ
 
উল্টো আমি এবং
প্রজাপতি ডানা ঝাপটায়।
 
সব রঙ গড়িয়ে নদী আমার
 
জীবন খোঁজে,
 
নেশায় মেতে উঠি,
 
অথচ জানাই হলো না জীবনকে !
এক জীবনকে চিনেছি
পাহাড় নদী সাগর আকাশ মিলে এক বৃত্ত
আমি তার অন্তর্দেশীয় জ্বলন অথবা
জলীয় প্রবণতা।


কোন মন্তব্য নেই: