“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

অমীমাংসিত

।। অভীককুমার দে।।

(C)Image:ছবি











মনই কথা হয়েছিল সেদিন,
অনেক রক্ত ঢেলেছি,
অনেক অশ্রু ঝরেছে,
আর না।
যে ছেলেটি কেঁদে কেটে গেছে চলে
কোথায় জানি না, ভুলেছে পথ !
কত কি গোপন ধুলোয় ঢেকেছে মুখ,
আর দেখিনি !
এমনই কথা হয়েছিল গোপনে
 
বুকের দরজা খুলে দেখবো
তোমার আমার ছেলের মুখে
ঘুমিয়ে আছে সুখে,
কত অজানা সত্য
সেই মুখের হাসিতে ভুলে থাকবো।
এমনই কথা ছিল--
এই দেখো, পতাকা তুলেছি,
বুকের কষ্ট মেখে চাকাটিও ঘুরছে
দেশ থেকে দশের অভিমুখে,
রোজ ছেলেটিকে খোঁজে,
প্রতিটি ছেলের মুখে খোঁজে,
কেননা, দশের মাঝেই একটি মৃত্যু রহস্যময়
ঘটনা অথবা রটনার শেষে
এমনই কথা হয়েছিল সেদিন,
হয়তো একদিন...
কত বছর গেছে চলে !
শোকের সুখ রঙ মেখেই উড়ছে।


কোন মন্তব্য নেই: