“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

আমার মুহুরী

।। অভীককুমার দে।। 
















১.
তিন দিন বেঁচে থাকার পর
মুহুরির দ্বিতীয় শাখানদী শুকিয়ে যাবার কথা ছিল,
সেদিন উজানযুদ্ধ জিতে গেলে
বুকে বাঁধভাঙা ঢেউ
 
সবুজ ক্ষেতের হাত ধরে অনেক দূর
শাখার শাখায় জীবন উল্লাস।
তিন দিনের একেকটি প্রহর
প্রহরীর মতো আগলে রেখেছে সাঁইত্রিশটি বছর।
২.
এসময় দুর্বল মুহুরি শরীর
ধীর গতি,
 
নীরব শুয়ে থাকে,
দৃষ্টিতে কোনও যুদ্ধের দৃঢ়তা নেই আর
দৃশ্যের সিঁড়ি বেয়ে মাথা তুলছে অজানা চড়।
কান পাতলে শুনি, কেউ বলছে--
মোহনার কাছাকাছি নাকি আমার মুহুরি!
অস্থিরতা বাড়ছে। 
আঘাত বাড়ছে।
 
বাঁকে বাঁকে কষ্ট জমে জরাজীর্ণ শরীর
দু'পাড়ে অভাবের দেয়াল লিখন।


কোন মন্তব্য নেই: