“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আমি এখন-২০

 ।। পার্থ প্রতিম আচার্য ।।
১০/১০/২০১৬




বার্চের পাতায় বরফ কুঁচি
এখানের প্রাক-শীতেও কেমন
সাদা খয়েরী বর্ণহীন সবুজে
খোলা বুকে তুমি সুন্দরী হুতাশী!
রাস্তায় থ্যাবড়ানো বরফ
আর অজস্র বেঢপ পাথর
মেপলের পিছে উঁকি মারে পাইপ
শুনশান স্তব্ধতা ভেঙ্গে কপটারের
আওয়াজ , রাতের কার্ফু ভেঙ্গে
চলে যায় সেনার কনভয় ।
ঝিলমের বুকে রক্ত লেপা
স্তব্ধ শিকারা । দিগন্তে
বারুদের বিষণ্ণ বিষ
মাঝে মাঝে একঘেয়ে ট্যাঁট ট্যাঁট
নীল হওয়া শিরায় শুধু
ছিন্ন বোরখা,কবরে শুয়ে থাকা
ছিন্ন ভিন্ন যৌবন
ঘর ছেড়ে যাওয়া পণ্ডিতের
শূন্য ভিটেতে অতৃপ্ত গেরস্থালীর
ফিসফিস কুঞ্জ। হাহাকারে
একাকার স্বর্গ নরক
সেহেনাই সুর ভুলে
একঘেয়ে কেঁদে যায়
জানাজার মিছিলে।
হে ক্লিওপেট্রা
প্রতিরাতে ঝলমলে
স্টুডিওতে তোমার বস্ত্রহরণ
তোমার স্বত্বাকে বিকেয়েছো
তুমি । রূপ নিয়ে খেলেছো
কি কোন জঘন্য খেলা?
জানি তুমি বলবে- জন্মের দোষ
চারিদিকে লোলুপ কামাতুর
বেষ্টিতা আমি” –জানি কতটা
অসহায় তুমি
যখন কাঞ্চন মূল্যে
সন্ততিরা তুলে দেয় মাকে
ধর্ষকের হাতে ।
এ বলে আমার, ও বলে আমার
রক্তসুন্দরী শরীরটা শুধু তোমার।
অনেক হয়েছে
 ঢের ঢের ঢের হয়েছে
হে মুমূর্ষু যৌবনা
জন্মদাত্রী হও
আগাছা হয়ে যাওয়া সন্ততি
ভুলে বীরগর্ভা হও
জানি আবারো বলবে
বাস্তু দোষ কি ছাড়বে আমায়” ?
বলি শোন কোন
পম্পে কিম্বা এন্টোনি
চোখ রাঙায়নি চিরকাল
শুধু ঘুরে যায়
অমোঘ সময়কাল
লাম্পট্য হীন দিনে
মানুষের মানুষ
হওয়ার আগতপ্রায়
রূপালি কোন সকালে
কামাতুর হাত নয়
নিষ্পাপ ছোঁয়ায়
সিক্ত হবে তুমি
ক্লান্ত তুমি জেগে উঠবে
আরও একবার
স্বর্গ সুন্দরী রূপে ।
অপেক্ষায় থাকবো...
 




কোন মন্তব্য নেই: