“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

মন-কষাকষি


 ।। সিক্তা বিশ্বাস  ।।







ক অদ্ভুত অবস্থার মধ্য দিয়া আমরা যাইরাম।জীবন যেন নিত্য সংঘর্ষ! খালি শিক্ষা কেমনে খাফ খাওয়ানি! ঐ দেখইন  ইতা ফুরাইগেছে, তে ইটা বাদ দিয়াই যা করার করইন , ইটা নষ্ট তে হয় বাদ নায় ম্যানেজ করা। গত কাইল রান্ধাত লাগিয়া দেখি মিক্সিয়ে কাম করের না! একবার ভাবলাম শিল-পুতা লই, তবে এতে যেমন খাটনি তেমন সময় সাপেক্ষ! গেলাম লাগা ঘরও, কইলাম, তেউ তাইন  কইলা, করইন তবে আমার ঘরই করইন, যার যার জিনিস যার যার বাড়িত ব্যবয়ারই ভালা। আপত্তির প্রশ্নই উঠে না। কইলাম ঠিক! ঠিক। যাইহউক ব্যবস্থা একখান অইল। আইজ সকালে আমি যখন কাম লইয়া নাকানি চুবানি খাইরাম, তখন কলিং বেল! খুলিয়া দেখি পাশের বাড়ির তাইন। কইলাম ওতো সকালে! ব্যপার কিতা, আইন ঘরও। তাইন মাতইনও আস্তে আর আমি চতুর্দিকের আওয়াজে তান কথাই শুনছি না! শুরুর 'আমার ঘরের'------ আর শেষের দুই শব্দ--- 'যদি দেইন', খালি শুনিয়া, ভাবলাম, গত কাইল আমারে মিক্সি  লইয়া ওতো লেকচার দিলায় আর নিজের বেলা বুঝি সব উল্টি  গেল! কইলাম নিশ্চয়ই! তবে আফনার কথাই যুক্তিপূর্ণ, নষ্ট হইলে যার যার নিজের বাড়িত অয়াই ভালা! আমার ইখানোই  ব্যবয়ার করইন। তান থমথমা মুখ লইয়া ফিরিয়া যাওয়ার উদ্যোগে আমার খটকা লাগলো! আমি তো কিচ্ছু না শুনিয়াই উত্তর দিলাম!! শুনি চাইন আবার মাজরাটা! কইলাম কিতা হইলো গো!? আমি কিচ্ছু ভুল শুনলাম নি!! তাইন ঘুতঘুতাইয়া চড়া গলায় কইলা, 'না আফনার ঝাড়ুখান নিতে আইছলাম!!' কইয়া কইয়া বাড়িমুখা হইলা! আমি তো থ!!!!!

কোন মন্তব্য নেই: