“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০

এই তো জীবন


।। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।।

(C)Imageঃছবি























মাঝে মাঝে বেসামাল ছন্দপতন,
এ না হলে কীসের জীবন ?
কত আর সামনে এগিয়ে চলা,
মাঝে মাঝে পেছন ফিরে দেখা।
এই তো আসল জীবন।

কিংবা কয়েক ধাপ পিছিয়ে গিয়ে,
নয়তো অসময়ে খানিক এগিয়ে যাওয়া।
থমকে পড়ে চলার রসদ জুগিয়ে নেয়া।
ঘুরপাকে নতুন পথে স্রোতে ভাসা -
এই তো সঠিক জীবন।

কালের হিসেব জটিল হয়ে ওঠে
জীবন পথে রুদ্ধ সরল পাটিগণিত।
অগোছালো কাল গুছিয়ে নিলে তবে
সাজানো বাগান হাতছানিতে ডাকে,
এই তো সখের জীবন।

যাপন ক্ষেত্র কিংবা খেলার মাঠ
তৈরি থাকে পদচারণ আশায়,
হোক না যতই বেহিসেবি অবকাশ
বিজয় মালা মেলায় সঠিক সময়।
এই তো মধুর জীবন।

জীবন ধারা বয় না ছন্দ মেপে,
ধ্বস্ত ধারায় সন্তরনের মুন্সিয়ানায়
পেরোতে হয় অকাল বেলার পথ,
তবেই আসে বৈশাখী হিন্দোল।
এই তো  কাম্য জীবন। 

কোন মন্তব্য নেই: