“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

দু'টি কবিতা



।। শিবানী দে।।
(C)Image:ছবি






















কত রক্ত ঝরাবে আষাঢ় ?
-----------------------------

কত রক্ত ঝরাবে আষাঢ় ?
তোমার কি জল নেই ঝরাবার ?
পৃথিবী এখন আগ্রাসী
শুধুই কি রক্তের পিয়াসী?
যেন মনে হয় সমস্ত আশার মুখে ছাই
বুকে ছাই।
এই আষাঢ়ের দিনে অঙ্কুরের নাশ
নিঃশেষে বিনাশ।
কারা যেন কেঁদেই চলেছে
সমস্ত আকাশ জুড়ে প্রতিধ্বনি তার
হায় হায় হাহাকার ।
কৃত্রিম আলোক-কথা আজ উজ্জীবন-পরাঙ্মুখ
উদ্দীপন পরাঙ্মুখ।
গভীর অসুখ
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঝাঁঝরা আজ করেছে ফুসফুস।
বিকল ক্লীবত্বপ্রাপ্ত বাণী
মহাপুরুষ-অভিমানী
চুপ হয়ে যায়।
নীরবতা ছায়
শ্মশানের নীরবতা ছায় ।





মাটি রাঙে মানুষের লালে
---------------------

কী জানি কে দোষ করেছিল,
কী জানি কী ছিল অপরাধ।
কী কথা কে কাকে বলেছিল,
কী-ই ছিল তার প্রতিবাদ।

কারো লোভ, কেউ করে ছল,
কারো মনে বঞ্চনার ভয়,
প্রতিস্পর্ধা জেগে ওঠে, তাই
অস্ত্রবলে নেই সংশয়।

কোন পক্ষে কার কত বল,
শুরু হয় শক্তিপ্রদর্শন,
কে-ই বাদী, কে-ই প্রতিবাদী,
কার হাতে কার বা মরণ।

অস্ত্র সাজে আপাদমস্তক,
হাসে শুধু অস্ত্রব্যবসায়ী,
সাথে ধর্ম আফিং-এর ডোজ,
ধার্মিকেরা গড়ে আততায়ী ।

বলেছিল, করেছিল যারা,
তারা কেউ নেই অকুস্থলে,
চারপাশে নির্দোষের শব,
মাটি রাঙে মানুষের লালে ।


কোন মন্তব্য নেই: