“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

মৃত্যু...


খন কবিতা ভিড় করে রাতে
বড় একা এবং অবসর এই সময়ে
মৃত্যু ও নতুনের মাঝখানে
আমার ঘুমহীন বালিশ এপাশ-ওপাশে বদলে প্রভাতে
এখন কবিতা ভিড় করে রাতে।
যেন ট্রাফিক হীন রাস্তা সরল রেখা
কবিতা ভিড় করে রাতে, আমার শৈশব, কৈশোরের স্টেশন ছুঁয়ে...
আমি ন্যাংটা চোখে মৃত্যু দেখি এখন
আমার খেলতে যাওয়ার বেলা
স্কুল থেকে ফেরার পথে সাপওলার খেলা
পড়ছি কিনা দেখতে এসে রাতে
টেবিলের ওপর ঘুম দেখে মায়ের কপাল খাওয়ার লেকচার
আমার ঘুমহীন চোখে ভাসে এখন
এমন হাজারো মৃত্যু।
আমি আহত হই এখন এই সময়ে
একের পর এক মৃত্যু দেখে।
নভেম্বর, ২০০৬; (c) ছবি



৩টি মন্তব্য:

সুশান্ত কর বলেছেন...

দারুণ! প্রবাসজীবনকে নবজন্ম বলে মনে হয় কী? লিখে চলো।

miftah বলেছেন...

প্রবাস জীবনের সব কিছুই তো নতুন দাদা।। যাই হোক ব্লগ টা অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

সুশান্ত কর বলেছেন...

ব্লগটা কিন্তু তোমার আমার সব্বার! একে সফল করো। এখানে যেকোনো লেখা দু'বছর পরেও খুঁজে পাবে। যেটি ফেসবুকে হবে না।