“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১১

মাতাকে মনেপড়ে














মাতার স্মৃতি নিয়ে শরৎ আসে ফিরে মনের নদীতীরে শুভ্র কাশ
আকাশে ফেলে ছায়া অতল এ’কি মায়া গো মাতা তব এই পট্টবাস
সাজায় ধরণীকে সাজায় পাপীকেও বাজায় ঘাসে ঘাসে অমল গান
মাতার সাথে আসে শেফালী ফুলগুলি আহা সে ফুলগুলি পুণ্যবান

দেখোনি মুখ ঐ মেঘের নির্মাণে দেখোনি ঐ চোখ আকাশময়?
অন্ধ তুমি হায় রবে কী চরদিনই ব্রাত্য জন্ম এ এ ভাবে ক্ষয়
হবে কি দিনে দিনে হবে কি রাতে রাতে ছুঁয়েও দেখবেনা শেফালী ফুল?
ছেলেরা ভুলকরে তথাপি মা কভু কখনো না করেন কিছুই ভুল

আমিও ক্ষমা পাবো তুমিও ক্ষমা পাবে শুভ্রমেঘ লিখে বারতা ওই
মাতা যে এসেছেন বসাবে তাঁকে কোথা রেখেছো পেতে তাঁর আসন কই?
আসন পেতে রাখি এই যে ধূলো মাটি সেইতো হে মাতা তোমারি ক্রোড়
এই যে হাহাকার এই যে চীৎকার এসব সকলিতো তোমার সুর
 তুমি যা দানকর তাতেই গানকরি তাতেই আগমনী ও বিসর্জন
তৃতীয় নয়নের বিভাতে ছুঁয়ে দিও ব্রাত্য জনেদের একটি ক্ষণ।।
                                                                           ।।  ১২/১০/২০১০ ।।



কোন মন্তব্য নেই: