“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

প্রণাম জীবন দেবতা

[কবিতা দিবসে দেশের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ]
।।  বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ।।









কাশ পানে মাঝে মাঝেই
খুঁজে ফিরি দেবদূত,
কল্পনায় করি আঁকিবুকি
তারই পূত অবয়ব।
দেবভূম মননে সততই ঊর্ধ্বে
ব্যর্থ প্রয়াসে খুঁজে মরি তাই
দেবতা - যত হুরি, পরি, দেবদূত।

অসার প্রয়াসে ভুলে যাই বারে বারে
আছে যত স্বর্গ নরক সবই এইখানে।
মহামারীতেও বুক চিতিয়ে আগুয়ান সব
শুভ্র বসনে আবৃত যত দৃপ্ত দেবদূত
মৃত্যুর কাছে থেকে আগলে রাখে সব
মর্ত্য দেবদুলাল - বিষে অমৃতে নাজেহাল।
সাথে ফিরে যত হুরি পরি অপ্সরা
হানা দিয়ে যম দুয়ারে - তুড়ি মেরে
ফেরায় সবারে মৃত্যুকে করে আলিঙ্গন।

আজ কবিতার হাতটি ধরে
জানাই তাঁদের বুক ভরা সব
পূর্ণ হৃদয় কৃতজ্ঞতায় সাজিয়ে রাখা
শুভ্র প্রাণিপাত,
বাঁচাও ধরণীকে -
বেঁচে থাকো হে আমার জীবন দেবতা
আসুক ফিরে সহস্র সুপ্রভাত।

কোন মন্তব্য নেই: