“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০

গণতান্ত্রিক দাবি


     














 ।। সিক্তা বিশ্বাস ।।

কেমন গণতান্ত্রিক মান 
খামতি শুধু আন্তরিক দান! 
ইচ্ছে শুধু হাতটি পাতার 
কৃপণতা হাতটি উল্টে দেবার! 
শোনো বীর সুভাষের দেশভাই, 
বড্ড বেমানান তোমাদের কুঁড়ে  সাজাটাই!
ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল সেই বীরের দম! 
অথৈ সাগরেও কেমন সরব গমগম! 
আজ তোমরা সার ছেড়ে অসারে ছোটো! 
মগজটা কি এমন নিরেট খাটো!? 
যত আছো জ্ঞানী গুণী অজ্ঞ বিজ্ঞ ! 
মিলেমিশে আজ সব একাকার! 
কে যে ভীতু কে যে বীর! 
মায়ের বুকে শুধুই হাহাকার! 
অম্লান রয়েছ ভুলে স্বামীজীর সেই নির্দেশ বাণী---
'হে বীর ভুলিও না, তুমি জন্ম হইতেই মায়ের জন্য বলীপ্রদত্ত'...
কেমন আজ মনে মনে কি জানি! কিংবা না জানি! 
স্বার্থবাদকেই যে সজোরে মানি!
চারিদিকে অগ্নিকাণ্ড! এ কেমন গণতন্ত্র ! 
এ যে নয়কো শিবের নয়কো শূরের ! 
কেবল অশিব স্বার্থান্বেষীদের ষড়যন্ত্র! 
ভুলো না কালের দাবি , 'হও ধর্মেতে বীর, হও কর্মেতে বীর... '
ওঠো জাগো! অবিলম্বে কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যাও , 
চির ঈপ্সিত আনন্দময় গণতান্ত্রিক মান ফিরিয়ে দাও!

  

কোন মন্তব্য নেই: