“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

ধুলোডাঙার চাষা

।। অভীক কুমার দে ।।









ভোটফসল পেকে যাবার পর
তোমার হাসিতে আমার হাসি মিশে যায়,
তারপর চোখে চোখ, মুখোমুখি,
উভয়ের হাতে কাঁচি;
আমি ঘাস কাটি, তুমি ফিতা কাটো।
এভাবে ভোরের কোকিল উড়ে গেলে
আমার খোলা মাঠ অচেনা ধুলোডাঙা।
ভরদুপুরের গায়ে বিষাক্ত ঘাম
আমি কঠোর হাতে মাটি কাটি,
গাছের দেখাশোনা করি, তুমি গলা কাটো।
ধুলোডাঙায় দেউলে বাতাস
ক্লান্ত দুপুর ঘুমের নেশা,
ভোটগাছের ডালে ঘুঘু পাখি ডাকে।
নদীচোখের পুরোনো ধারায় চোখ ভিজে গেলে
পথে হাঁটি, তুমি নোনা স্বাদের সোহাগ বাটো।
এই ধুলোডাঙার কেউ কি জানে, বা জানে না--
এক ডিজিটাল আকাশ মাথার উপর
কতগুলো নিষ্প্রাণ তারা সাজিয়ে
শূন্যতা আর আনুমানিক রঙ বিলি করছে !
আমার নদী শুকায়, তুমি সাঁতার কাটো !
ঘাম আর রক্ত মিশে এই যে নদী
যা খুশি নাম দিতে পারো,
শুধু গণতন্ত্র বা স্বাধীনতা বলতে যেও না, কেননা--
নদীর রক্ত- ঘামে ভোটগাছের শিকড় ভেজা;
স্বপ্ন দেখি-- আমি খাঁটি, তুমি খাটো।


কোন মন্তব্য নেই: