।। সুনীতি দেবনাথ ।।
ওরা সব সাধারণ মানুষ ছিলো।
নিজেদের নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর গল্প
কিংবা ঐ স্কুল কলেজে পড়ার ফাঁকে
চেতনায় শান দেবার, আগুনের ফুলকি হবার
অতলান্ত গভীরের স্বপ্ন সাধনা তো ছিলো,
তবু ওরা কেউকেটা কেউ ছিলো না মোটে।
তবু জীবনটাকে ভাষার জন্য মাতৃভাষার জন্য
ঠিক সময়ে কেমন সহজে ওরাই দিল!
ওরা খাঁটি বাঙালি, বাংলা ওদের মাতৃভাষা!
পৃথিবীর ইতিহাসে
মাতৃভাষার অধিকারের লড়াই এমনভাবে
আর কেউ কোনদিন লড়েছে কিনা
জীবনকে বাজি রেখে,
শুনিনি কোনদিন, দেখা তো দূর কথা !
এপার ওপার দুপারের বাঙালি লড়েছে
জীবনটাকে রক্ত সাজে রক্তজবা বানিয়ে
উৎসর্গ করেছে হাসিমুখে মাতৃভাষার জন্য।
কী অভাবনীয় ভয়ঙ্কর ইতিহাস !
১৯৬১সালের মে মাস,
নদী বরাকের সুশ্যামল উপত্যকা —
পরাধীন দেশে ঔপনিবেশিক শাসক নয়
এই স্বাধীন দেশের মদগর্বী দেশীয় শাসকই
কূটকৌশলে তোমার আমার মাতৃভাষাকে
স্বাধীন রাষ্ট্রের সংবিধানের সুস্পষ্ট নির্দেশকে
অবমাননা করে, অপমান করে আমাদের
মাতৃভাষার অন্তর্জলিযাত্রার জন্য কলকাঠি ঘোরালো।
ফুঁসে উঠেছিল শান্তিপ্রিয় বাঙালি সারাটা উপত্যকায়।
বর্বর নৃশংসতা ফুঁসে উঠলো গুলির পরিভাষায় —
উনিশে মে সকাল, শিলচর রেলওয়ে স্টেশন,
হাজারো জনতার প্রতিবাদী জমায়েতে অঝোর গুলিবর্ষণ,
বারুদের গন্ধে পুলিশী হুঙ্কার, প্রথম লাশ হলেন
দুঃসাহসিনী নারী কমলা ভট্টাচার্য,
পৃথিবীর প্রথম ভাষা শহীদ নারী।
তারপর একে একে আরও দশটি দেহ—
রক্তের ঢেউয়ে বারুদের গন্ধে লিখলো নয়া ইতিহাস।
প্রমাণিত হলো
প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে বাঙালি
তার মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা করতে জানে!
মাতৃভাষা —
পৃথিবীর মধুরতম ভাষা বাংলাভাষা!
আমার তোমার মাতৃভাষা, আমার গর্ব সবার গর্ব।
উনিশে মে ভাষার জন্য রক্তের হোলি খেলার দিন.,
এগারো শহীদের রক্তে ক্রুদ্ধ বরাকের স্রোতে
রক্ত ঢালার দিন।
স্বাধীন দেশে প্রাণের মূল্যে মাতৃভাষার
স্বাধীনতা অর্জনের দিন।
ইতিহাসের পাতার ধুলো ঝেড়ে
শহীদের রক্তে ভেজা মুখগুলি আবার
স্পষ্ট করে দেখার দিন,
এগারো ভাষা শহীদ এগারো রক্তজবা—
মাতৃভাষার অতন্দ্র প্রহরী ।
কাজরী,
১১ মে, ২০১৬
ওরা সব সাধারণ মানুষ ছিলো।
নিজেদের নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর গল্প
কিংবা ঐ স্কুল কলেজে পড়ার ফাঁকে
চেতনায় শান দেবার, আগুনের ফুলকি হবার
অতলান্ত গভীরের স্বপ্ন সাধনা তো ছিলো,
তবু ওরা কেউকেটা কেউ ছিলো না মোটে।
তবু জীবনটাকে ভাষার জন্য মাতৃভাষার জন্য
ঠিক সময়ে কেমন সহজে ওরাই দিল!
ওরা খাঁটি বাঙালি, বাংলা ওদের মাতৃভাষা!
পৃথিবীর ইতিহাসে
মাতৃভাষার অধিকারের লড়াই এমনভাবে
আর কেউ কোনদিন লড়েছে কিনা
জীবনকে বাজি রেখে,
শুনিনি কোনদিন, দেখা তো দূর কথা !
এপার ওপার দুপারের বাঙালি লড়েছে
জীবনটাকে রক্ত সাজে রক্তজবা বানিয়ে
উৎসর্গ করেছে হাসিমুখে মাতৃভাষার জন্য।
কী অভাবনীয় ভয়ঙ্কর ইতিহাস !
১৯৬১সালের মে মাস,
নদী বরাকের সুশ্যামল উপত্যকা —
পরাধীন দেশে ঔপনিবেশিক শাসক নয়
এই স্বাধীন দেশের মদগর্বী দেশীয় শাসকই
কূটকৌশলে তোমার আমার মাতৃভাষাকে
স্বাধীন রাষ্ট্রের সংবিধানের সুস্পষ্ট নির্দেশকে
অবমাননা করে, অপমান করে আমাদের
মাতৃভাষার অন্তর্জলিযাত্রার জন্য কলকাঠি ঘোরালো।
ফুঁসে উঠেছিল শান্তিপ্রিয় বাঙালি সারাটা উপত্যকায়।
বর্বর নৃশংসতা ফুঁসে উঠলো গুলির পরিভাষায় —
উনিশে মে সকাল, শিলচর রেলওয়ে স্টেশন,
হাজারো জনতার প্রতিবাদী জমায়েতে অঝোর গুলিবর্ষণ,
বারুদের গন্ধে পুলিশী হুঙ্কার, প্রথম লাশ হলেন
দুঃসাহসিনী নারী কমলা ভট্টাচার্য,
পৃথিবীর প্রথম ভাষা শহীদ নারী।
তারপর একে একে আরও দশটি দেহ—
রক্তের ঢেউয়ে বারুদের গন্ধে লিখলো নয়া ইতিহাস।
প্রমাণিত হলো
প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে বাঙালি
তার মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা করতে জানে!
মাতৃভাষা —
পৃথিবীর মধুরতম ভাষা বাংলাভাষা!
আমার তোমার মাতৃভাষা, আমার গর্ব সবার গর্ব।
উনিশে মে ভাষার জন্য রক্তের হোলি খেলার দিন.,
এগারো শহীদের রক্তে ক্রুদ্ধ বরাকের স্রোতে
রক্ত ঢালার দিন।
স্বাধীন দেশে প্রাণের মূল্যে মাতৃভাষার
স্বাধীনতা অর্জনের দিন।
ইতিহাসের পাতার ধুলো ঝেড়ে
শহীদের রক্তে ভেজা মুখগুলি আবার
স্পষ্ট করে দেখার দিন,
এগারো ভাষা শহীদ এগারো রক্তজবা—
মাতৃভাষার অতন্দ্র প্রহরী ।
কাজরী,
১১ মে, ২০১৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন