“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৩

আমি নাকি ভিনদেশি

।।শৈলেন দাস।।









মি বেড়ে উঠেছি বরাকের কোলে
 জন্ম নিয়ে দেখেছি যে আলো
 তা প্রতিফলিত হয়ে এসেছে
 এই বরাকেরই মাটি, ঘাস, জলে।
 বুক ভরে টেনে নিয়ে যে শীতল বাতাস
 সচল রেখেছি আমার হৃদযন্ত্র
 বছরের পর বছর ধরে
 তার নিবিড় প্রবাহ বয়ে চলেছে
 এই বারাকেরই আনাচে-কানাচে হয়ে।
 তবুও রাজনীতির কুশীলবরা
 আমার মাতৃভাষার প্রসঙ্গ টেনে
 আমার নামের পাশে বসিয়ে দেয় “ডি”
 সন্দেহ করে আমি নাকি ভিনদেশি!
 তাই আমাকে তাড়া করে দিটেনশন ক্যাম্প
 বা নোম্যানস ল্যাণ্ডে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয়।
 স্ব-ঘোষিত, স্ব-স্বীকৃত ভূমিপুত্রদের
 এই অসাংবিধানিক কারসাজি
 আমার আত্মমর্যাদায় আঘাত করে
 আমার মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হয়
 স্ত্রী-পুত্র পরিজন নিয়ে আমাকে
 প্রতিদিন ভীত, সন্ত্রস্ত থাকতে হয়।
 আজ অসহায় আমি
 অসহায় আমার জাতিসত্ত্বা
 আর আমার স্বাধীনতা
 প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।

কোন মন্তব্য নেই: