“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

মথগন্ধা




মথগন্ধা
...............
মেয়েরা বড়ো অস্পষ্ট হয় নিজের কাছে
তার ইচ্ছা, গোপন গোলাপ, সোনালি চুমু
উল্টানো সঙ্গম, হাত ছুঁয়ে রাখা ডিনামাইট
কোনটাই তার নিজস্ব নয়
গরম কে চেখে দেখে ললিপপের মতো
শিশু মনে ত্রিকাল জুড়ে পড়ে থাকে এক ন্যাড়া পাহাড়
কোন ঘাসের নামও কোনদিন মেয়েটি একা দেয়নি
অথচ পুরো পাহাড়কে গিলে ফেলতে পারে
আধচুমুক নেশাতেই
তার চোখ, ঠোঁট, জিহ্বা ......
পোড়া কফির গন্ধ মেখে .....মেখে
লম্বা দীঘল পা ফেলে ....ফেলে পুরুষের চোখে
মুগ্ধতা খোঁজে
মৌমাছির আঠালো রসের শৌখিন রসকলি যেন
একটা চোখ, কিছুটা মন, অসংলগ্ন কাম
তার নিজের হওয়া দরকার
কেউ কেউ যে সমকামী পাতা ঝরানোর কথা বলে
সেটাও তার ভুল চন্দ্রগ্রহণ
একটুখানি খাঁটি পারমাণবিক সত্ত্বা গড়ে উঠতে
ভাষার চারপাশে কেবলই জমে ওঠে মোম লালা
মথস্থবির হয়ে ক্যামেরার আশেপাশে
সেজে ওঠে ঝুটমুট গয়না
চুড়ির খাঁজে খাঁজে মিথ্যে বালির .... অরণ্য দ্বীপ...

 

কোন মন্তব্য নেই: