“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শিক্ষায়তন

।। অভীককুমার দে।।

বেকারের অর্থনীতির মতই শিক্ষায়তন
নগরে শহরের কেতাবি সাহেব
দূরবীনে দৃষ্টি,
আকাশে প্রান্তজ্বলন।

দূরবীন ঘিরে আরও অনেক চোখ
চোখের দৃষ্টি মুখে, শব্দের অপেক্ষায়
শুকনো মুখ, শব্দহীন।

নগর থেকে শহর দেখছে কেতাবি সাহেব।
প্রতিটি শহরের শব্দ দখল করবেন বলেই
কণ্ঠ কাটছেন নীরবে,
এমনই একটি শহর বাংলাদেশের কোলে
বাংলায় কথা বলতেন বেশিরভাগ মানুষ,
এখন বিভীষণীয় কৌশল
একঝাঁক বানর পাথর ছুড়ছে বুকে।

নোংরা জলে মুখ লুকিয়ে রাজধানী
মাস্তুল বিহীন জাহাজ অশিক্ষার কাছে
পাল খোঁজে,
নিঃশব্দ ভাগাড় থেকে মুখ তুলছে অক্ষর আর
কেতাবি সাহেবের ঠোঁটে চুমু খাচ্ছে ভাষা !

হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়া
চায়ের কাপ হাতে শুনছে--
'আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে... '

প্রান্তজ্বলন বুকে আগামীর শিশু
প্রজাপতি ধরার মতই শব্দের পিছে হাঁটে।

কোন মন্তব্য নেই: