“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আমি অরিন্দম হবো


- - - - - - - - - - - - বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।


হ্যালো, কেমন আছিস অরিন্দম ?
আছি বন্ধু, থাকাটাই যা -
দেশের ঘোষিত অবৈধ নাগরিক
ভুল করেছে করণিক, আমি দেব খেসারত -
- বিশ্বাস হারিয়েছে অরিন্দম বিশ্বাস।

দু’যুগ পরের কথোপকথন এমন হয় না,
বিলুপ্ত উচ্ছ্বাসে ফুটে উঠে একরাশ বিরক্তি।
একান্নবর্তী প্রাণের বন্ধু ছুট লাগায়
হয়রানির মহড়ায় পালিয়ে বেড়ায়
জাহান্নামের পথের দূরে।

আশির ঘরের বাবা
মাঝে মাঝেই গল্পকথায় শোনায় স্মৃতিকথা -
হিংস্র লোলুপ শ্বাপদ বিদেয় বৃত্তান্ত।
বলে, নিজ হাতে গড়া মোর খাসা ঘর -
গোড়াপত্তনের উত্তরাধিকার কথা।

অসহায় অরিন্দম কী করে বোঝায়
হিংসুটে শ্বাপদের হয়নি বিদেয় আজও।
আজও ঘৃণার বাস্প ওড়ে দেশের হাওয়ায়
অরিন্দম বিশ্বাসরা আজও মাথা কুটে মরে
অবিশ্বাস আর ঘৃণার বেড়াজালে।

এবার কিন্তু মাঝে মাঝে একাকী বেলায়
দ্রোহসুর ছলকে ওঠে হৃদয়তন্ত্রী জুড়ে,
আগুনের হলকা চোখে ভস্ম অভীপ্সায়।
চরাচরে পারদ চড়ে তরতরিয়ে - এবার তবে
দেখে নেব শেষ যুদ্ধে - আমি উত্থিত অরিন্দম।

                     - - - - - - - - - - -

কোন মন্তব্য নেই: