“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

চূর্ণ গ্রীষ্ম/ গুচ্ছ কবিতা

 

















 চূর্ণ গ্রীষ্ম... আট

সুমঙ্গলী গ্রীষ্ম.....
পাখীরা বলে গেছে এখন অপেক্ষা শেষ
খরে ছাওয়া মৃদু ঘরে ডিমের বেঁচে থাকা ফুরিয়ে গেছে
চুপ করে আছে ব্রতকথা,
হাট থেকে ফিরে আসা বটফল
গ্রীষ্ম  দিয়েছে  উপবাসের সুখ
 জামের রঙে ভিজে থাকা পার্বণের ছল, টানা দুপুর ....

চূর্ণগ্রীষ্ম ...নয়
 
নিভে যাওয়ার শেষমুহূর্ত পর্যন্ত তুমি জ্বলতে চাও
আমি নিভে যাওয়ার একটু আগে সরে যাই
কিছু দহন জ্বলতে থাক, জ্বলতেই থাক ...
অশ্রান্ত গ্রীষ্ম এভাবেই তুমি আমার ....

চূর্ণ গ্রীষ্ম ...দশ

মিশ্র  গ্রীষ্ম এবারের মতো
ধনুক রূপ আর তোমার দেখিনি
দ্রিমি দ্রিমি মাদল বাজালে
ঘুমিয়ে গেলাম আমি
উড়ে উড়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে
বাতাসের টুকরো গছিয়ে দিলে লবণের পুতুলে
আর্দ্রতা আর জমে না কোথাও
গ্রীষ্ম রাত  শুধু  একটি কাটাকুটি ভরা নোটবুক

কোন মন্তব্য নেই: