“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

কাহিনির কবিতা অথবা কাহিনিকারের




।। রশ্মিরেখা বরা ।।
(কবিতাটি বেরিয়েছে  অসমিয়া মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রকাশ’-এর জুন, ২০১৬ সংখ্যাতে  "কাহিনিৰ কবিতা অথবা কাহিনীকাৰৰ/৩' নামে। ভালো লাগলো বলে অনুবাদ করে ফেললাম)













থ’ লেগে কাহিনিকার তাঁর আধখানা কাহিনিটির দিকে তাকালেন
তাঁকে রোজ বিব্রত করে যে ভাবনাগুলো তাতে বিব্রত হয়ে
তিনি পাতায় পাতায় গিয়ে খুঁজলেন
যা লিখতে চাইছিলেন তা কি তিনি লিখলেন
যা না লিখবেন বলে ভেবেছিলেন সে কি পারলেন এড়িয়ে যেতে
আর সেই দেখা-অদেখা শব্দগুলোর মাঝে মাঝে কাহিনিকার
আরম্ভ করলেন ফিরে আসার যাত্রা

যাত্রাটি ছিল খুব  বিস্ময় তথা রোমাঞ্চ ভরা
কারণ পুরো পথেই তিনি হলেন রক্তাক্ত
তাঁর না লেখা কথাগুলো তাঁকে টিটকিরি দিল
না আঁকা চরিত্রগুলো পাথর ছুঁড়ে মারল
আর তিনি না লেখা সময়গুলো তাঁকে ডুবিয়ে দিল অভিশাপে

সেই ফেরা যাত্রার শেষে কাহিনিকার যখন শুরুর বিন্দুতে এসে পৌঁছুলেন
হঠাৎই তিনি দেখেন এক অন্য দৃশ্য

তিনি যা লিখতে চাইছিলেন সেতো লেখা হলোই না
বরং একটি ক্রূর কুটিল কাহিনি নিজেই তাঁকে লিখে ফেলল
নিষ্ঠুর এক প্রাচীন খেলাতে তিনি ন্যাংটো হয়ে গেলেন
একটি কাহিনির ষঢ়যন্ত্রে

আর নিজস্ব গল্পটি বাদ দিয়ে কাহিনিটি পাঠককে বলে যেতে শুরু করল
তার কথকের করুণতম কথাগুলো।

কোন মন্তব্য নেই: