“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১৬

বালি বর্ষা...এক

বালি বর্ষা....এক

................

দেখা হয় মাঝে মাঝে মফঃস্বল শহরটির সাথে

স্তন্যদান শেষে মায়ের মতো সে কাজ করে অঝোরে

পরে থাকে খেলনা দুপুর,  ব্যস্ত ফলের গাছ

আমাকে দেখে সে ভারী বিব্রত

মুখ শুকনো, চোখ উজ্জ্বল "কি হয়েছে মা বল!"

আমি চোখে চোখে বালিপতন ঘটাই

এসবই আমার নির্মেঘ বৃষ্টিপাত 

মফস্বল শহরটির গায়ে লেগে আছে জামরুল ছায়া

বৃক্ষদের বড় হওয়া চলতে থাকে মেঘের সাথে

পথ নেই, রাত নেই, শ্রাবন্তী দিন শিশু মেয়ের মতন

আধডোবা পুকুরের পাশ দিয়ে কলার উঁচিয়ে চলা রাস্তা

খই বাছা ধান  জমে আছে  আদুরে ঝোপটির চোখের পাতায়

সে পথে তেতো গাছ ফেলছে পাতা

লতানো ঔষধি শিকড় ঝুমকো চুলের মতো 

গেঁথে  আছে বর্ষার টুপটাপ মৃদু মাটিতে 

 তালপাতার বাঁশী ঠোঁটে কৌশুলী বর্ষাযুবক সে পথেই

এই মফস্বল, এই রাস্তা আর আমি

একচিমটি  মহাকাশের মতো বার বার পূনর্জন্মের         অপেক্ষা করি...

কোন মন্তব্য নেই: