“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬

চলমান গল্প; কবি-৩


কোন এক মোবাইল কোম্পানির ব্যাটারি এবং মোবাইলের সংযোগ স্থলে সবুজ আম পাতার অগ্রভাগ লাগালেই নাকি ব্যাটারি তৎক্ষণাৎ  ফুলচার্জ হয়ে যেত! ক্লান্তি জড়ানো গ্রীষ্মের কোন এক দুপুরে এমনই একটি ঘটনা ঘটল কবির জীবনে। গ্রাম বরাকের কোন এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফেরার পথে দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন বাসের মাঝামাঝি একখানা সীট পেয়ে গেলেন বরাত জুড়ে তখন জানালা দিয়ে আসা ফুরফুরে হাওয়ায় একটু আলস্য পেয়ে বসল কবিকে। মোবাইলের হেডফোন কানে গুজে  সীটে হেলান দিয়ে কবি আয়েস করে শুনতে লাগলেন জীবনানন্দের কবিতায় সুরারোপিত করা গান 'আবার আসিব ফিরে....'। কবির ভাবনার সাথে সুরের ব্যঞ্জনায় বিমোহিত মন হয়ে উঠল শঙ্খচিল, দুচোখ বুজে এল নিজে থেকেই।
অকস্মাৎ গাড়ি ব্রেক কষায় সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লেন কবি। কোনক্রমে নিজেকে সামলে নিয়ে এদিকওদিক তাকাতেই তিনি খেয়াল করলেন কন্ডাকটরকে পাশ কাটিয়ে বাসে উঠে আসছে স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক তরুনী যার মুখের আদল বহুকাল আগে দেখা সেই চেনা পরিচিত মুখের মত। কবি টের পেলেন জড়তা কাটছে, হাজার হাজার ইলেকট্রন কণা ঢুকে পড়ছে 'ডেড' হয়ে যাওয়া হৃদযন্ত্রে।

কোন মন্তব্য নেই: