“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বরচ্ছেদ

রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ


(C)Image:ছবি






























১)

ট্রান্সফরমারে জুড়ে আছে প্রজন্মের ইতিকথা
কালো সার্ট বস্তুপিণ্ড যেন বিপ্রতীপ কাহিনী
স্বরচ্ছেদ মাত্র একটি রচনাকৌশল।

অভাবী বাগানে নেমে এল গতজন্মের
কোকাকোলা বায়ুকোষ।

২)

সারাটা দিন নোটপাতায় জন্মগত কীটগুলো
মুখোশ খুলতে খুলতে
অনুসরণ শেষে বিভ্রান্তিমুক্ত।

কাহাতক আমাদের বুলেটপ্রুফ চিন্তাকুল

অন্ধের দৃঢ়তা স্যাটেলাইট হোমে
রাঙিয়ে দেয় জাতীয়তা ভ্রূণ।

৩)

শিশিবোতল কুড়িয়ে
আলোর পায়চারি
গলায় গলায়।

শিশুর চোখে যৌনতার মাপকাঠি খুঁজে
সময়ের পাপাত্মা এসে যায় ঘর-বাহির

৪)

চাপাতির শিঙ কেটে সবুজ দাতে
হিরোসিমা আর দুপুরের যোনি
চেটে নেয় মাকড়শারজাল।

ট্রেনের হুইসেল যেন কান ফাটা ধর্ষণ
দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছে পাখাওয়ালা স্বপ্ন

৫)

রবীন্দ্রগান শুনে শুনে
যে সঙ্গম শিখিয়েছে
নদীর পরাজয়
খবরে খবর আসে
জ্যোৎস্নায় বেতাল উনুন নিভে যায়।













কোন মন্তব্য নেই: