“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

পিতৃদিবসের কবিতা



।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।। 














বাবা,
তোমার ছিঁচকাঁদুনে মেয়েটা,
তোমাকে দেখলেই
তোমার ছোঁয়া পেলেই
তোমার আদরের ডাক শুনলেই
যার অভিমানী মন
দুচোখ বেয়ে মুক্তো হয়ে
গলে গলে পড়ত ,
সে তেমনই আছে,
তেমনই আছে
তার সব ব্যথা আর অভিমান৷
গোত্রান্তরের রাতে,
তুমিই তো একফাঁকে বলেছিলে----
যা কিছু বদল ঘটুক
যা কিছু নতুন আসুক
অভিপ্রেত অনভিপ্রেত জীবনজুড়ে
সবটুকু হাসি দিয়ে ভরে দিতে
আলো দিয়ে মালা গেঁথে
গান দিয়ে সুরে সুরে
লক্ষী মেয়ের মত
সব কথা শুনেছি তোমার, মেনেছিও----
তবু মাঝে মাঝে
বড় সাধ হয়
সেই কচি বালিকার মত
বৃষ্টি আসুক দুচোখ ঝেঁপে
মনের আকাশ জুড়ে
তোমার মায়া পরশ পেয়ে
রামধনু রং আলো ছড়াক
নতুন করে-----

কোন মন্তব্য নেই: