“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৫ জুন, ২০১৫

বনসাই

(C)Image:ছবি














।।  শিবানী দে।।

ড়ের প্রার্থনা করে সেই এক বামন বনসাই ।

কাটা তার লম্বমূল, বাকি মূলগুলো কোনোক্রমে আছে
অগভীর টবের জমিতে ছড়িয়ে ।
এইটুকু কাণ্ডের গায়ে কি যে নেই,
কৃত্রিম কোটর, তৈরি দোমড়ানো ডাল, ডাল থেকে নামা ঝুরি----
বামন বৃক্ষের সাজ দেখে অট্টহাসে বনস্পতি ।
ঝারি ঝরা জলে আর ঘটে পচা সারে পুষ্টি তার,
মাটির গহন হতে কি করে করতে হয় রসের যোগাড়,
অজানাই তার । শাখা তার নয় পাখির আশ্রয়,
মাথা তার ছোঁয় না মেঘের তল মাঠের অশ্বত্থটার মতো ।

হে ঝড়, একটিবার এসো । ভেঙ্গে ফেলো পলকা ওই টব ।
তুলে ফেলে দাও তারে মাঠের বিশাল পরিসরে,
খর্বতার অবসান হোক ।
শাখামূলগুলিই তার লম্বমূল হয়ে ঢুকে যাবে মাটির গভীরে,
ডালপালা ছড়িয়ে সে তুলবে আকাশে মাথা তার।
তারপরে ইচ্ছে হলে ভেঙ্গে দিও । বাঁচতে তো পেরেছে একবার ।

কোন মন্তব্য নেই: