“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১২

ঝড়


তুমি তো বলেছিলে , সাথে থাকবো ,সুখে দুঃখে,
সূর্যোদয়ের সূর্যমুখী , আর অমানিশার একমুঠো জোনাকি হয়ে।
তুমিই তো বলেছিলে,
 আকাশের বুকে লিখে রেখে যাব নাম ,তোমার-আমার, 
মেঘের সাজে।
অথবা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ব,
সুন্দরের আবাহনে।
মনে পড়ে তোমার? আমার সবুজ আঁচল ভরে দিয়েছিলে,
কনক চাঁপা উপহারে।
অবেলায় গেয়েছিলে মল্লার গীতি।
কাটাকুটির ছলে, লিখে ছিলে নিজের নাম,
কাঠমল্লিকার বুকে।
যা প্রজাপতি হয়ে উড়ে গিয়েছিল,
দখিনের জানালায়।
একফোঁটা শিশির হয়ে লিখেছিল কবিতা,
চোখের পাতার আধফোটা কুঁড়িতে।
শতচ্ছিন্ন সেই প্রেমের কবিতা,রাখালিয়া বাঁশী,
ভেসে গেছে সেদিন, কাল বৈশাখী ঝড়ে।
রয়ে গেছে
 শুধু  সবুজের ইতিহাস,
দুটো উপড়ে যাওয়া বটগাছের নিষ্প্রাণ দেহ।

কোন মন্তব্য নেই: