“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বোধি


                                                    











                                                      


                                                                                            রণজিৎ দাশ
 রমণী এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতহীন রাম-এর আসর চাই—
একটা মফসসল শহরের ভগ্নপ্রায় ডাক-বাংলোর বাদুর ওড়া ছাদে,
লোড শেডিং-এর রাতে, তিনজন বিষাদঘন কবিবন্ধুর সঙ্গে,
দামি সিগারেটহীন, চিকেন পকোড়াহীন, বিড়ি ও বাদাম খেয়ে,
মশার কামড় খেয়ে, ছাদের কোণে বুড়ো ষাঁড়ের অণ্ডকোষের মতো একটা লালচে বালব
জলপাই গুড়ি বা পুরুলিয়ার তিনজন হার্ডকোর কলকাতা বিদ্বেষী কবিবন্ধুর
ঘনিষ্ট সান্নিধ্যে—কলকাতার কবির প্রতি তাদের ব্যঙ্গ ও করুণা মেশানো
অনবদ্য আন্তরিকতায়, মুগ্ধ হয়ে, লজ্জিত হয়ে, চাপা অপরাধবোধে,
চাপা ভণ্ডামীর বোধে, বন্ধুদের প্রত্যেকের হাত ছুঁয়ে মনে মনে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে,
তিন পেগ রাম অ তিনজন মাফিয়া –কবির মুণ্ডুপাতের পর,
বন্ধুদের সন্মিলিত অট্টহাসি আর স্খলিত গানের সুরে, মহানন্দে আমি
একটা ডোবার ধারে সঙ্গমরত কুকুরদের ধাক্কায়
একটা হৃষ্টপুষ্ট কচুঝোপের মতো দুলে দুলে, আমি এই পৃথিবীর
শুদ্ধতম রামের আসরে, মফসসল শহরের নিঃসীম নৈরাশ্যময় অন্ধকারে
বুক ভরে শ্বাস নিতে চাই, আকাশের তারা দেখতে চাই।
                                               (c) ছবি

কোন মন্তব্য নেই: