“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

অসমের নানা শহরে ২১শের অনুষ্ঠান , ২০১২

        অসমের প্রথম একাদশ ভাষা শহীদের শহর শিলচরে রেল স্টেশনে  সাড়ম্বরে পালিত হয় ২১শে ফেব্রুরারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সন্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ, শিলচর এবং ভাষা শহীদ স্টেশন শহীদ স্মরণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে সকাল সাতটা ঠেকে নটা অব্দি এই এই অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন ভাষিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাজানো ছিল পুরো কর্মসূচী। মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা সেনানি সুমিত্রা দত্ত। এ ছাড়াও ডিমাছা সাহিত্য সভার সাধারণ সম্পাদক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। হিন্দি এবং মনিপুরী লোক নৃত্য ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। নিচে উদ্যোক্তাদের পাঠানো তারই কিছু ছবি তুলে রাখা হলো।  

        
  এছাড়াও শিলচরে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন, এ আই ডি এসও ইত্যাদি একাধিক সংগঠন মিলে গড়ে তুলল সংগ্রামী জোট। শপথ নিল অন্য এক সংগ্রামের। তারই সংবাদঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
         গুয়াহাটিতে 'ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক মঞ্চ' আয়োজন করেছিল দু'দিনের মিলনোৎসব তাতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সমবেত হন বৌদ্ধিক সাংস্কতিক কর্মীরা। ছিলেন অসম সাহিত্য সভার সভাপতি রং বং তেরং। সংবাদে সেই অনুষ্ঠানঃ
                             
                                     ছবিগুলোতে দু'বার ক্লিক করুন , বড় হয়ে যাবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
             দিকে তিনসুকিয়াতে 'উজান সাহিত্য গোষ্ঠী' গেল প্রায় একদশক ধরে  ২১শে ফেব্রুয়ারি পালনের ঐতিহ্য এবারেও ধরে রেখেছে। কর্মসূচির শুরু হয়েছিল  ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২তে দুর্গাবাড়ি শিশু বিদ্যালয়ে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা দিয়ে। তিনসুকিয়ার প্রচুর স্কুল থেকে প্রায় ২০০ শতাধিক প্রতিযোগী এতে যোগ দেয়। চারটি বিভাগে চারজন করে ষোলজন বিজয়ী প্রতিযোগীকে আজ ২১ শের অনুষ্ঠানের শেষে পুরস্কৃত করা হয়। ২১শের দুপুর তিনটেয় সংস্থার সভাপতি সুজয় রায়  সংস্থার পতাকা তুলে  অনুষ্ঠানের সুচনা করেন। শহীদ বেদিতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পন করেন অসম সাহিত্য সভার তিনসুকিয়া শাখার সভাপতি আব্দুল রৌফ সহ উপস্থিত সদস্য এবং অভ্যাগতরা। এর পর সবাই দাঁড়িয়ে  'আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি' গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ২১শের ইতিবৃত্ত এবং মাতৃভাষা সংকটের স্বরূপ নিয়ে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সুশান্ত কর। একে একে বক্তব্য রাখেন অসম সাহিত্য সভার তিনসুকিয়া শাখার সভাপতি আব্দুল রৌফ, সভার প্রাক্তন সভাপতি পূর্ণানন্দ বরুয়া, নেপালি কবি দুর্গা দত্ত শর্মা, সুপরিচিত চিত্র শিল্পী রাজেন খাউন্ড, মহেশ্বর মূর্মু, শ্রমিক আন্দোলনের কর্মি অসীম দত্ত প্রমুখ অনেকে। আকর্ষণীয় বিষয় ছিল এদিন প্রত্যেকে তাদের মাতৃভাষাতে বক্তব্য রাখছিলেন।  রাজেন খাউন্ড এবং দুর্গা দাস দত্ত অবশ্য নিজেদের লেখা কবিতা পড়েও শোনান সবাইকে । এছাড়াও শুক্লা সরকার, উজানের সম্পাদক ভানু ভূষণ দাস, সহ-সভানেত্রী সবিতা দেবনাথ, সদস্যা নিহারিকা দেবী এমন আড়ো অনেকে কবিতা পড়ে শোনান। এক সঙ্গে কবিতা আবৃত্তি করেন সৌমেন ব্যানার্জী এবং রূপা পাল। জীবন সরকার, অমৃত রাজখোয়া, পৌষালি কর প্রমুখ অনেকে সঙ্গীতেও সুরময় করে তুলেন অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠানে আশাতীত দর্শক শ্রোতার সমাগম দেখে উৎসাহীত আব্দুল রৌফ প্রস্তাব করেন যে আগামী বছর আরো ব্যাপক আকারে , নানা ভাষার আরো বহু সংগঠনকে যুক্ত করে অনুষ্ঠান করতে হবে জেলা গ্রন্থাগারে। ২১শের অনুষ্ঠান থেকেই তিনসুকিয়াতে  সামাজিক বৈচিত্রের গৌরবকে তুলে ধরে নতুন এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জন্ম দিতে হবে।
 বাকি ছবিগুলো দেখুন এখানে ঃ

এছাড়াও তিনটি ভিডিওঃ

১) রবীন্দ্র সংগীত গাইছে পৌষালি কর।


২) রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি করছেন সৌমেন ব্যানার্জী এবং রূপা পাল।


৩) নেপালি ভাষাতে বক্তৃতা দিচ্ছেন এবং কবিতা পড়ছেন কবি দুর্গা দত্ত শর্মা

২টি মন্তব্য:

pupusonali বলেছেন...

amar sonar bangla ami tomae valo basi..........

সুশান্ত কর বলেছেন...

ব্লগে ভ্রমণের জন্যে ধন্যবাদ পুপুসোনালি!