“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ভারত এক খোঁজ

সমুদ্র সন্তানের মুখ চেয়ে নয়
আকাশী বালির দেশে নিজেকে দেখব বলে
আকাশে উড়িয়ে দিয়েছি লাল শালুর বিজয় কেতন।

ইনক্রেডিবেল ইন্ডিয়া গত দুদিনে আমার ঘুম কেড়েছে
ব্রিটিশ দুশ বছর ধরে নীল চাষে মত্ত ছিল আমার শরীরে

আন্দামানে ছুঁড়ে
দিয়েছিল স্বাধীনতা

আজ
ছয় দশক পরে দেখি
স্বাধীনতা আমার ঘর, বউ, সমুদ্র নিয়েছে।
সন্তান নাচছে ব্রিটিশ ক্যামেরার সামনে
ঝুলে পড়া স্তনে রুটির আস্তরণ, ঊরুসন্ধিতে মদ্যস্রাব

স্বাধীনতার যূপকাষ্ঠ
আমার বন্য ইজ্জত খুঁড়ে দাঁড়িয়ে
ব্রিটিশ যুবতির আহ্লাদে

আমি জারোয়া সন্তান, জারজ নই কিন্তু।

৩টি মন্তব্য:

সুশান্ত কর বলেছেন...

বাহ! দারুণ কাজ করেছেন! এই বিষয়টা আমাদের অনেকেরই হৃদয় ছুঁয়ে গেলেও সরব হবার দরকার মনে করিনি। আপনি আমাদের বিবেক জাগিয়ে দিলেন। ছবিটাও সঠিক সম্পাদনা করেই দিয়েছেন। লিখতে থাকুন।

Mitropokhyo বলেছেন...

ব্রিটিশ মিডিয়ায় ঝর তুলেছে, আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে দৌড় ঝাপ চলছে কদিন ধরে। অথচ আমাদের কোন হুশ নেই সুশান্ত'দা। আন্দামানের এই জারোয়া সম্প্রদায়ের ভূমিপুত্ররা আজ আমাদের বিদেশি টুরিস্ট দের একমাত্র আকর্ষণ। তাদের নগ্ন করে নাচাচ্ছে আমাদের পুলিশ। স্রেফ কিছু খাওয়ার তাদের যৌনাঙ্গে ছুঁড়ে দিয়ে। একবার ভাবুন আমরা কোথায় আছি! কোন দেশে আমরা আছি। ব্রিটিশ মিডিয়া এই ভিডিও প্রকাশ করার পর আমাদের ইজ্জত আর আছে? নেই। এরপরও আমরা চুপ। কেন????

সুশান্ত কর বলেছেন...

আমরা কি আর কেউ এদের মানুষ বলে ভাবি! মূল ভূখণ্ডের আদিবাসিদেরকেই আমরা বেঁচে থাকতে দিচ্ছি না, আর ওরাতো আরো আরণ্যক! বাঁদর নাচ নাচিয়ে নিজের মনুষ্যত্ব জাহির করছি আর কি! তবে ভারত সরকার বোধহয় একটু নড়ে চড়ে বসেছে!