“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ভুবনভ্যালী চা বাগানে অনাহারে সম্প্রতি ন'জন শ্রমিকের মৃত্যু রহস্য আই বি এন লাইভে

খন কিনা চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে শ্রম আয়ুক্তের আদেশে মালিকপক্ষের আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন লক্ষ্মীপুর মহকুমার ভুবনভ্যালী চা বাগানে অনাহারে সম্প্রতি ন'জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।  সংবাদটি প্রথমে খুব ছোট করে স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশ পেয়েছিল। তাতেই মাঠে নামে বরাক হিউমেন রাইটস প্রটেকশন কমিটি এবং অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন। এটা হয়েছে সাধারণ ভাবে সমস্ত চা-শ্রমিকদের মধ্যে যে ভয়ানক অপুষ্টির সমস্যা রয়েছে তার জন্যেতো বটেই, তার উপর বন্ধ চাবাগানে গণবণ্টন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবার জন্যে উচ্চতম আদালতের যে নির্দেশ  রয়েছে-- ঐ বাগানে তাও  লঙ্ঘন করা হয়েছিল এবং ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছিল। জানা গেছে যে বিগত ২০১১র অক্টোবরেই কোনো পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে ভুবনভ্যালী বাগান কর্তৃপক্ষ বাগানটিকে একেবারেই পরিত্যাগ করে। একজন গুদামবাবুকে সহ পরিচালকের দায়িত্বের উন্নীত করে তাকে সম্পত্তি দেখাশোনার  দায়িত্বে  রেখে দেয়। বন্ধ করবার আগে শ্রমিকদের বহুদিন যাবৎ নগদ তলবও আদায় দেয় নি, এমন কি রেশনের মধ্যি দিয়ে জিনিসে হাজিরাও অনাদায় রেখে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই ঐ বাগানে স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদির কোনো ব্যবস্থাই কাজ করছিল না। এটি তাদের প্রতি কর্তৃপক্ষের চরম উপেক্ষার এবং আইন লঙ্ঘনের নজির। যে উপেক্ষা এবং লঙ্ঘন কিনা এখানকার প্রায় সব বাগানেই রয়েছে। প্রায় সব বাগানেই খুবই নিম্নমানের রেশন দেয়া হয়ে থাকে, তাও পরিমাণের চেয়ে কম। এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বললে প্রায় কোথাওই কিচ্ছু নেই।  কোনো বাগান কর্তৃপক্ষই এই অবস্থার উন্নতির জন্যে ভাবে, এমনটা দেখাই যায় না।
    সংবাদটি এখন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও ছড়িয়ে গেছে। আই বি এন লাইভের এরকমই এক সংবাদের ভিডিও রইল নিচেঃ


কোন মন্তব্য নেই: