“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কৃষক

      রফিক উদ্দিন লস্কর  

 

 

(C)Image:ছবি


 

 

 

 

রা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
ফসল ফলায় মাঠে,
আমার দেশের কৃষক ভাইয়ের
দেখা পাবে হাটে।

ওরা কষ্ট করে যে ফসল ফলায়
ঝরায় গায়ের ঘাম,    
এই সমাজের কারো কাছে ওরা
পায়নি সঠিক দাম।    

ওরা পেটটাও ভরে পায়নি খেতে 
রোজ দু'বেলা ভাত,
তারা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে
কেঁদে চলে সারারাত।

ক্ষুধার কি জ্বালা দুনিয়ার বুকে
ধনীরা কি কভু বোঝে?
ওদের দুঃখ কষ্ট দুর হবে কিসে
সেই পথ নাহি খোঁজে।

কৃষক ভাই সে হতে পারে গরীব
সবসময়ই থাকে সৎ,
ধান্দা করেনি চাষি বড়দের মতো  
খোঁজেনি বেজাল পথ। 

ওরা হাঁটে দীর্ঘপথ শুনাতে কিছু
খরা, দেনা, শস্যের দর ,
কেও শুনেনি ভাই ওদের আর্তনাদ
ওরা দুঃখি জনম ভর।

কৃষকের রক্ত ঘামে হয়েছে উর্বর
আমার দেশের মাটি,
ওরা অভুক্ত রাজ্যের রাজা-সৈন্য
সোনার চেয়েও খাঁটি।

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং
কাটলিছড়া, হাইলাকান্দি (আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই: