“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জীবনের রঙ

          ।। রফিক উদ্দিন লস্কর  ।।  

 

 

(C)Image:ছবি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জীবনের অনেক সময় ঘুরে ঘুরে চলে চালহীন রিক্সার সীটে,
বল প্রয়োগ অভিকর্ষের বিপরীতে দেয়াল ঠেকে যায় পিঠে। 
জ্যান্ত মানুষ, কিছুকাল বাধ্যতামূলকভাবে ও মূর্তি হয়ে যাই,
বুকপকেটে রাখা দাঁতাল চিরুনি দিয়ে মাথার চুল আওড়াই।   
খোলা বড় বড় চোখ দিয়ে দেখি এই মহা পৃথিবীর নড়াচড়া,
দেখি মানুষের আনন্দ অথবা দুর্গতি দরজায় নাড়ছে কড়া।  
সমস্ত দিন আমরা শুধু দেখে দেখে যাই আর কিছুটা তৃপ্ত হই,
বহুদিন ধরে অন্যের ব্যবহৃত জুতোর পেশাদার মুচি হয়ে রই।
বসে বসে শুধু সযত্নে সেলাই করি এই ছেঁড়া-ফাটা জীবন,
বাহারি নকশায় রিফু দিতে থাকি বুঝাতে অশান্ত অবুঝ মন। 
কখনো  হয়ে উঠি অপ্রাপ্তবয়ষ্ক কিংবা কোন প্রাপ্তবয়স্ক শিশু
চেনা অচেনার চরিত্রে নিরন্তর অভিনয় মনে হয় জীবন টিস্যু ।
একেকটা সময় আসে যখন বোধের ইচ্ছেগুলো মরে যায়, 
জীবনকাব্যের যত ছন্দ মাধুরি তা অজ্ঞতার ফাঁকে হারায়।


📙📙📙

কোন মন্তব্য নেই: