“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মৃত্যুর জয়গান

।। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।।



ওই যে ভোরের পাখিটা- গান গেয়ে যায়

ওই যে বাউলের একতারাটা- সুর তোলে যায়
ওরা কার গান গায় ?
আমার গান, তোমার গান- জীবনের জয়গান।
 
জয়গান কি শুধু জীবনেরই- মৃত্যুর নয় ?
নদীটার উজানেই যদি জীবন
ভাটিতেই তো তার মৃত্যু
একই জল- একই গান- এটাই তো অপার সত্যি।
 
শরীরী আর অশরীরীর অবাক করা এক ফারাক
চিন্তার স্রোতটাকে থামিয়ে রাখে একই বিন্দুতে
ওখান থেকেই ভাবনার উৎসবিন্দু
পথ খুঁজে বেড়ায় বিশ্লেষণের বেড়াজাল ডিঙিয়ে।
 
জীবন নাট্যের মৃত্যু যবনিকা
হোক না আরেক চিত্রনাট্যের সূত্রপাত।
যেখানে স্মৃতির সম্ভারে পরিপূর্ণ হবে
ফেলে আসা জীবনেরই আরেক অলিখিত অধ্যায়।
 
বড় করে নাহয় না-ই দেখলাম
জীবনটা তো আমার হাতের মুঠোয়
ফুৎকারে আজ হাওয়ায় ভাসাই মৃত্যুকে
নতুন করে আজ গেয়ে বেড়াই- মৃত্যুর জয়গান।



কোন মন্তব্য নেই: