“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯

পুলওয়ামা

।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।









কটা ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে 
অদ্ভুত উৎকট পরিস্থিতি ,
আনাচে কানাচে উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা 
দেশপ্রেমে এখন শুধুই জোয়ার, 
বিপন্ন একাত্মবোধ, জাতীয় সংহতি ।
মনে ভয়, হয়তো আবারো হয়, 
জাতি দাঙ্গা --
চুরাশি দৌরাত্ম্য  দুর তো নয়।
পথে ঘাটে, নির্জনে, এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে
পৈশাচিক আক্রোশ, সে ভয়ঙ্কর দেশপ্রেম ---
আমার সত্যিই ভীষণ ভয়।
পুলওয়ামা পরবর্তী যা ঘটেছে দেশে , 
কাশ্মীর চাই, কাশ্মীরী নয় --
এ কোন অন্যায় আবেদন ?
জাতি বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা , দেশপ্রেম তো নয় ।
শহীদের কফিন ঘিরে ভোটের রাজনীতি 
মনের ঈশান কোনে পুঞ্জীভূত মেঘ
সত্য বলার স্বাধীনতাকে টুঁটি চেপে ধরা ?
প্রচারের আলোতে খোঁজে আত্মতৃপ্তির আশ
হে ঈশ্বর,  ওদের মূর্খের স্বর্গে বাস  
এদেশ এখন কোন অশিক্ষিত বন্যদের নয় ।
পুলওয়ামাতে যা ঘটে গেল সেদিন --
তার জন্যে হোক  প্রতিবাদ,  তীব্র তিরস্কার ।
যত রক্ত ঝরিয়েছে সেনা, অতর্কিতে 
কুচক্রীর আত্মঘাতী হামলায়, 
হৃদয়ের প্রতিটি কোষ, শুধু আমি নই
আসমুদ্র হিমাচল কেঁদেছে যন্ত্রণায় ।
ঘন আর্তনাদ আর বোবা আক্রোশে।
কোনও হিন্দু কিংবা মুসলমান নয়--,
নয় কোনও শিখ, পার্সি কিংবা পাঠান , 
কেঁদেছে প্রতিটি ভারতীয় অন্তর
ভারত মায়ের ওরা সাচ্চা সন্তান ।
এসো, হে বন্ধু, হে উদ্দীপ্ত ভারতবাসী 
এই দুর্দিনে, হাতে রাখি হাত ,
ঊর্ধ্বে উঠে সব - ধর্ম, বর্ণ, জাত
এসো বাঙালি, গুজরাটি , কিন্নরী  কাশ্মীরী
এসো খোলা দিল উড়িয়া তামিল
এসো সংহত হই, সংযত হই
সংহতির শপথ নিলাম এবার
এদেশ আমার, এদেশ তোমার ,
শুভবুদ্ধি থাকা সকল ভারতবাসীর
যোগ্য জবাবে গর্জে উঠুক সুতীব্র প্রতিরোধ 


কোন মন্তব্য নেই: