“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

অতএব আজাদি

।। জাহিদ রুদ্র।।
(C)Image:ছবি











কে    আমি...
কেন আজাদি বলি! বলবো ভাত চাই ওটা দাও
পনেরো লাখ চাইনা শুধু
জীবিকা চাই--
 
তাও ভাত আর কিছু নয়
কারণ আমার প্রতিটা কাজ শুরু হয়
পরম করুণাময় অশেষ দয়ালু
 
মহান কৃষকের নামে যার হাত ধরে সভ‍্যতার শুরু।
কি ?প্রগতি, হ্যাঁ সে তো অনেক হয়েছে
উজ্জ্বলা হয়েছে গরীবের উনুনে ও টি পি'র মতো
আবাস হয়েছে কাঁচা থেকে পাকার মতো
সন্ত্রাসী মরেছে সেনাবাহিনীর গোরস্থানে,
আর আপনি বলছেন রেনেসাঁ---
নিশ্চয় সেটা হয়েছে সারা ইউরোপ জুড়ে।
প্লেটো সক্রেটিস ভিঞ্চি আর দেকার্তে
সকলেই পাকস্থলীতে পুষেছে মগজ
কারণ ভাত,
আর পৃথিবীর মাতৃভাষা আজও ক্ষুধা।
পৃথিবীটা ক্ষুধার পা চাটে আজ থেকে নয়
সেই আদিম থেকে,
যেহেতু ক্ষুধা মহামতি,তাই
যুদ্ধ আর বুলেটের মিথস্ক্রিয়ায় চেয়েছিল ক্ষুধা নিবারণ।
কিন্তু বাবু, ক্ষুধার জ্বালায় 
কীসের আজাদি কীসের জিন্দাবাদ?
আমার চিৎকার হবে ভাত-ভাত-ভাত,
অতএব
পতাকা রাষ্ট্রগান ও সংবিধান
ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলুন
কারণ
 
আমার সিনেমা হবে
ভাত দে হারামজাদা


কোন মন্তব্য নেই: