“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৯

নববর্ষের কবিতা

।। চিরশ্রী দেবনাথ।।

(C)Image:ছবি











সেছে নববর্ষ অর্ণবমেঘে, এই পৃথিবীতে আবার
যারা চলে গেছে, অকালে অঝোরে ঋতুচিহ্ন নিয়ে
সকল নৃশংসতা,  বিষ ও আগুনের মতো হৃদয়ে ধারণ করে
ক্ষমা করো তোমরা এই পৃথিবীরে,  সদ্যজাত বঙ্গাব্দকে    
আসতে হয় ক্ষীণ ধর্মবোধ আর শ্বেতপ্রদাহ নিয়ে নিয়ম করে
তাই আসা, তাই আসা, তপ্ত অসীম কালবৈশাখীর সাথে 
মধ্যরাতে পিচ ঢালা রাস্তায় ঐ  নীলাভ হিমকর ধরাচ্ছে নেশা
কাচের আলো দুপাশের বাড়ি থেকে পড়ছে ভেঙেচুরে বুঁদ হয়ে  জল ছিটকে চলে যাচ্ছে গাড়ি, নির্জনতা পছন্দ করেনি সে 
তরুণ ড্রাইভার বন্দিশের ঠিকানা বদলাচ্ছে বার বার
তাই দেখে ফ্রক পরা কিশোরী পুনর্বার নেমেছে বর্ষবরণে
দুহাতের খই ভরা ডালায় তার বারোটি মাস রাখা সুঘ্রাণে
কাঁচা কাঁঠালের আসক্তি কষ লেগে যাচ্ছে হাতে ও স্পর্শে
মথুরা শহর যেমন করে পারে না ভুলতে দূর বৃন্দগ্রামকে
আজকাল নির্বাচনী প্রচারের পর যুবকের দল ফিরে যায়
সঙ্গে কি থাকে, কি লাভ , কি হয় আসলে, তবুও অমোঘ নেশা, 
সমুদ্র দ্বীপ যেমন করে দার্ঢ্য থাকে ঢেউয়ের একান্ত রিরংসায়,  
অশ্রু ও রক্ত ভুলে গনতন্ত্র ধরতে চায় কেবল এক প্রত্যয়ী হাত ;
 শ্লোগান মিথ্যা হয়, প্রতিশ্রুতিও, তবুও দেশ বলে
জাগিয়ে রাখো ; জেগে থাকো ; হাজার অন্ধকার আলোরই মতন অবশেষে, পথ শেষে ; তাই এই নববর্ষ মায়াময়, রোদময় ;
বৈশাখে জন্ম নেওয়া পাখি শিস্ দিতে শিখেছে আজই, খিস্তিও ;
তার শিশুকাল নিস্তব্ধতা শেখেনি, অচিরেই আছড়ে পড়েছে যৌবন ; প্লাবন তাই সমকালে, আগামীতে উর্বরা পলি, সতন্ত্র শস্যক্ষেত্র।




কোন মন্তব্য নেই: