“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯

আকাশ

।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।।









কাশের ঠিকানাটি শুধু অশ্বত্থ জানে
সে কখন আসে কখন যায়
কখন কোথায় ঘুরে বেড়ায়
শুধুমাত্র অশ্বত্থই খবর রাখে।
এই যে মেঘ , ভালোবেসে গা জড়িয়ে আছে ,
কানে কানে কখন কি ভালবাসার পাঠ দিচ্ছে,
অশ্বত্থ চোখ বুজে সব বলে দিতে পারে ,
এমনই তাদের সম্পর্ক।
ছোটবেলা থেকেই তার আকাশের সাথে
প্রকাশহীন নিবিড় বন্ধুত্ব ।
মাঝে মাঝে তার রাগ হয় , বিরক্তি লাগে,
এত কিসের খুনসুটি ? বেলেল্লাপনা
প্রকাশ্যে লোমশ বুকে নির্লজ্জতায় মুখ ঘষা,
এতো সুস্থ নয়, ছিন্নমতী, চঞ্চলতা ।
আকাশ তখনও নির্বিকার
স্নিগ্ধ হাসি ঠোঁটে , চোখে তার বিস্ময় অপার ।
মেঘ যখন রেগে যায়,
প্রচন্ড আক্রোশে সমস্ত সুন্দরকে ধংস করতে উদ্যত,
অশ্বত্থ ভয়ে ভয়ে ইষ্ট স্মরণ করে --
আকাশ তখন শান্ত, শীতল ;
অবাক হয়ে মেঘকে দেখে আর ভাবে
এত রূপ মেঘ কোথায় লুকিয়ে রাখে।
আর ঠিক এই কারণেই আকাশকে ঘিরে
অশ্বত্থের মনে এক বিশাল দুর্বলতা ।
পৃথিবীর মানুষগুলোও আকাশের মত --
ভীষণ নরম, তুলতুলে, আবার বজ্রের মত কঠিন
সকল পরিস্থিতিতে পঞ্চমে সুর।
পার্থক্য শুধু একটিই
আকাশের মত বিশাল মনটা কারো নেই, আর -- ?
আর, মানুষগুলো কেমন যেন বীর্যহীণ,
শত আঘাতেও প্রতিবাদ করতে জানে না ,
সংকটের ত্রিসন্ধ্যায় ওরা সুখের স্বপ্ন দেখে হায়।

কোন মন্তব্য নেই: