“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

অন্ধকারে

।। শিবানী দে।।
(C) Image:ছবি




















প্রভাতে ঝলমল করে হেসে উঠল পৃথিবী
আলোর পোশাক গায়ে জড়িয়ে
মনে হচ্ছে সব কিছুই যেন দৃশ্যমান।
রাতের অন্ধকারে কিছুই ঠাহর হচ্ছিল না ------
কিছুই ঠাহর হচ্ছিল না ?
রাতে কি তাকিয়েছিলে আকাশের দিকে ?
সামনের দুহাত পর্যন্ত দৃষ্টিকে সীমাবদ্ধ না রেখে
যদি পাঠাতে দূর আকাশের দিকে,
দেখতে, দিনের আলোর চাইতে রাতের অন্ধকারেই
বেশি দূর দেখা যায় ।
আলো তার মায়াবরণ দিয়ে চারপাশ জড়িয়ে রাখে,
সব কিছু তারই রঙে রঙিন,
তারই ঔজ্জ্বল্যে ঝলকায়, রূপ ধরে ।
অন্ধকার নিরাবরণ, জীবলোককে করে নগ্ন ।
দিবসের ঔজ্জ্বল্যে আচ্ছাদিত অন্তঃস্বরূপকে
বাইরে টেনে আনে ।
অন্ধকারের অকৃত্রিমতায়
অন্তহীন আকাশের নক্ষত্ররাজি যারা প্রত্যেকেই সূর্যকল্প,
অযুতরশ্মির ক্ষুদ্রতাকেও ধরিয়ে দেয় তারা,
তাদের অন্তহীন সংখ্যা অসীমের আভাস নিয়ে আসে
তোমার কালবদ্ধ মানসে ।
সূর্যের রাজচ্ছটায় হীনমন্য তুমি
নক্ষত্রমন্ডলীর সাথে একাসনে বস,
তোমাকে মহীয়ান করে তোলে
বিপুল বিশাল অন্ধকার ।




কোন মন্তব্য নেই: