(ঈশানের পুঞ্জমেঘ ফেসবুক গ্রুপে কবি সেলিম মুস্তফা জানালেন পীযুষ রাউতের কবিরা বই বেরুবার কথা। লিখলেন, "ত্রিপুরায় যিনি প্রথম কবিতার কাগজ 'জোনাকি' বের করেন ১৯৬৩ সালে কৈলাসহর থেকে। তাঁর ১৭তম কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে । 'আমরা কয়েকজন'। তাঁর ঠিকানা--Jagat Kutir Complex, Flat-'B' Block, 1st Floor,Premtola,Silchar, 788 004, Cachar, Assam. Mobile-9401415086. এই বইটি কোন স্টলে বা লাইব্রেরীতে পাওয়া হতো যাবে না। এখন আরো দু'চারদিন ধর্মনগরে আছেন, তাই দুপুরবেলা গিয়ে নিয়ে এলাম বইটা। তাঁর লেখার প্রতিটি শব্দ তাঁর প্রাত্যহিক জীবন থেকে নেয়া। গোটা বাংলাসাহিত্যে এই একজনই কবি, যিনি কল্পনা করে কিছু লেখেন না । বানিয়ে লিখতেই জানেন না। এজন্য ' কবিতা হয়নি ' এমন ব্যাখ্যাও কেউ কেউ করে থাকেন। বানানোর প্রয়োজন তাঁর পড়ে না । আমার মনে হয়না এমনভাবে একান্তই নিজের জীবন কেউ কবিতায় ব্যবহার করেছেন। কারণ এই পদ্ধতিতে কবিতা সার্থক করে তোলার জন্য যে দুঃসাহস দরকার, তা সকলের থাকার কথা নয়।কবিতার 'পোজ' বিহীন এই কবিতা হয়তো কোনদিনই সেরকম সম্মান পাবে না, যা তার প্রাপ্য । তবু তাঁর একান্ত পাঠক যারা, তাদের জন্য ফেসবুকের এই পৃষ্ঠা ব্যবহার করতে পেরে আমি খুশি । আমরা চিরকালই তাঁর কবিতার পিয়াসী ।" এই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আরেক কবি তপন মোহন্ত এই কবিতাটি টাইপ করে পড়ালেন। সুযোগ পেয়ে আমি এটি ব্লগে তুলে রাখলাম।---সুশান্ত কর )
একটি নদী৷
ধরা যাক নাম তার সুর্মা৷ সুর্মা কিংবা কুশিয়ারা৷
তার নাম
হতে পারে বরাক৷ হতে পারে ধলাই৷ মনু৷
নদীর পাড়ে
একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ি৷ পূর্বপুরুষের স্বপ্নের নির্মাণ৷
আমার জন্মবাড়ি৷
তেষট্টি বছর আগে
দেশান্তরী হওয়া সেই বালক
আজ রীতিমত প্রবীণ৷
তার যে ডাগরচক্ষু একসময়
বিস্ময় দেখত৷ দেখত ভালবাসা আর স্বপ্ন-সম্ভাবনা,
সেই চক্ষু কবেই অন্ধ হয়ে গেছে৷
প্রবীণ
এখন শুধুই দেখে একেকটি নষ্ট দিবসের
উদয়াস্ত আর নিকষকালো অধিকার৷
যে নামেই তাকে
ডাকি না কেন, সে, নদী
গ্রাস করেছে আমার জন্মভিটে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন