।। পার্থঙ্কর চৌধুরী।।
স্থান, চৌরঙ্গি, শিলচর শহর।
২০১৪। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ। সময় আনুমানিক সকাল ১০টা। দামী
‘ব-লে-রো’ গাড়ি। নম্বর-প্লেট WB দিয়ে শুরু; বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটা
পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা। ‘কৃষ্ণ বলো- আগে চলো’। সামনে-পিছনের বাম্পারে
বলিষ্ঠ অক্ষরে লেখা। আপাততঃ স্তব্ধ গাড়ি। ভিতরে কেউ বসা
নেই। মিনিট খানেক পর নাক থেকে কপালের
পুরোটা জুড়ে তিলক কাটা বছর ২৩-২৪ বছরের এক তরুণী ভক্ত দেখা গেলো। এর আরও এক মিনিট
পর ঐ একই উঠতি বয়সের তরুণ ভক্ত। দুজনেই
স্তব্ধ গাড়ির এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করছে।
এর আরও দু মিনিট পরের ঘটনা।
গাড়ির দরজা খুলে নিমিষে ৩-৪ টা জলের বোতল ছুঁড়ে ফেলা হল, পরিস্কার রাস্তায়,
হরিদাস-বাবুর পাড়ায়।
আরও এক দেড় মিনিট পর…!
দাড়িওয়ালা মুসলমান এক রিকশাওয়ালা যাচ্ছিলো ঐ পথ দিয়ে। ফেলে দেওয়া খালি বোতল-গুলো
দেখে দাঁড়ালো একটু। নিমিষে বোতল গুলো তুলে নিল। রিক্সার সীট খুলে সে জায়গায় পুরে
নিল বোতল গুলো। পুরো ব্যপারটাই ৩-৪ মিনিটে সম্পন্ন হল।
যে বাস্তব ঘটনাটা এই মাত্র বললাম, সেটা তেমন বড় কোনো ঘটনা নয়। অন্ততপক্ষেঃ
আমাদের এই শহরে। চারদিকে যেরকম ধর্মা-ন্তি-করন নিয়ে হাল্লা, চিৎকার, প্রতিবাদ- প্রসঙ্গ হচ্ছে, তাই
জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হল, (বোতলকে Personify-করে), এই ‘বোতলের ধর্ম’ পরবর্তীতে কী হবে’?
নিজের অজান্তে যে বোতল গুলো ধর্মা-ন্তি-রত হয়ে গেলো… তা নিয়ে কেউ কি গেলো-গেলো
রব তুলবে না? আর, পরিবেশ-প্রসঙ্গ কি একে বারেই বাদ…? বাদ দিয়েই কি প্রগতির ‘ব-লে-রো’ আগে
চলবে…?’
সংবেদনশীল-দের প্রতীকী এই ঘটনা, কিছু ভাববার খোরাক দিচ্ছে কি…?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন