“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২

গর্বের রঙধনু















 

সাদা এবং ধূসরে এই বিশাল উদাসীনতার সাগর
জ্বলন্ত মস্তিষ্ক উপকূলে
যদিও শিশুর হৃদয় খেলতে বাধ্য হয়,
যুদ্ধের জন্ম আর হৃদয় ছিঁড়ে যাওয়া ঘৃণা-কল্পনার কাহিনী,
রসায়ন চলে প্যারাডক্সিকেল কথোপকথনে  ।
নিরপরাধ কটূক্তি - বিচ্ছেদের ট্যাগলাইনে
রক্ত ​​ঝরায় বিপথগামী পথে
এখানেই সে উদ্দীপ্ত করে আর আমি তাকে
সমান্তরাল ভালোবাসি, পুরুষতান্ত্রিক যুদ্ধ ছাড়া।

কিন্তু তারপর ........
বৈদ্যুতিক গান আর আত্মার চার্জ ভালোবাসা শেখায়,
কীভাবে গ্রহণ করবো কীভাবে কোমল হব
সবকিছু যাবতীয় বাস্তব আর স্নায়ুচরিত্রে।

আমার ক্লিভেজ শহর এখন বাধ্য চাষাবাদ ছেড়ে ধুতরোর বীজ চিবোতে।
কব্জি কেটে তার নাম ধরে ডাকলাম,
দেখি এই শহরে সূর্য ডুবে যাচ্ছে বয়সের দেয়ালে
শুধু গুগোল ম্যাপ স্ট্রিট লাইট জীবন কাটায়।

বসন্তের বিনিময়ে ভয়ের শহর নিক্ষিপ্ত আমাদের বন্দি জীবন
চোখ অশ্রুতে আমাকে কাছে রেখেছিল তার টান
 যার সাহসে ছিল স্ফুলিঙ্গ।
কিলিমাঞ্জারো পর্বত শহরকে রংধনুর রঙে রাঙিয়ে দেয় ইতিহাসের উত্তরসূরিরা।

সাহসীরা নিজেদের রক্ষা করে এবং লড়াই করে
কিন্তু আমি রেখেছিলাম
ক্ষমতাহীন ছোট অন্ধকারে নিজেকে বন্দী করে,
 বিচারের আযাবে গোনাহের ক্ষমতা থেকে,
 সাহস-হারা গোপন ভালবাসা 
ঘর থেকে বেরিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে দেখে,
ভয়ের শহর আর নেই।

আমাদের শহর আর সাদা এবং ধূসরতা হারিয়ে
কিশোর উল্লাসে দৈনন্দিন জীবন 
দেয়ালে রঙধনু আঁকতে ব্যস্ত,
যেখানে আমি তাকে ভালবাসি এবং সে আমাকে,
যেখানে আমি গর্ব করতে শিখেছি,
বিপন্নতার তৃষ্ণা শরীর পেরিয়ে।

কোন মন্তব্য নেই: