“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

আমি কৃষক নই!

(C)Image:ছবি


 

 

 

 

 

 

।। মিঠুন ভট্টাচার্য ।।

 
সকালের ঘুম চোখে,
আলোকবার্তায় মিশে
তি্থি্ , তি্থি্ আওয়াজ ছিল
বাড়ির স্কুলঘন্টা।
আবার
উঠোন জুড়ে ধানের ছড়া
মুখচাপা গরুর সুশৃঙখল খেলা -
এ পর্য্যন্ত ছোট্টবেলার
কৃষি পরিক্রমা।
বড় হবার সময় -
কুয়াশা বেলায়
যখন পরীক্ষা শেষ
ধানকাটা জমিতে ক্রিকেট মাঠ,
শহরমুখো গ্রামের
অগুন্তি সুনীল, কপিলদের ভীড়
শেষ আলো থাকা অব্ধি।
যোগসূত্রের নাড়ীতে
এতটুকুই কৃষি উদযাপন।
আজকাল
চাল ডাল শাক-সবজি কিনে খাই ।
চাকরি করি মাইনে পাই।
দিন গুজরানে বেশী আর কী চাই?
হীরক রাজের মগজ ধোলাইতে
বৈজ্ঞানিকের কি আর দরকার আছে ভাই ?

৮ ডিসেম্বর ২০২০

কোন মন্তব্য নেই: