“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

অধরা














 
।। সিক্তা বিশ্বাস ।। 
 

ঠিকানাটা একই ছিল বসতবাড়ি সুখের, 
ছাইয়ের গাদায় বিড়াল-সুখ আশাটুকু বুকের... 
আশার তোড়ে উনুন খোঁজা কখন হবে ফাঁকা
সুখসাগরে ডুবসাঁতারের আড়ি পেতে থাকা!
মনপাখিটার খেয়াল শুধু উড়ান ভরার সাধ... 
আকাশগঙ্গা পাড়ি দিয়ে আনবে সুখের চাঁদ...
চাঁদের খোঁজে মনঘুড়িটা আলোর বেগে ছুটে
মেঘের সাথে সংঘর্ষে তার স্বপ্ন খানি টুটে!
ঘূর্ণিঝড়ের কোপে পড়ে বৃন্তচ্যুত ফল! 
নিমখুন সে যে চাপে পড়ে ভগ্ন মনোবল!
মেঘ বোঝালো, এ যে সাগর ছাঁকা মুক্তো ঝিনুক, 
চায় কেবল সুখী মানুষই সুখকে চিনুক! 
মরীচিকা! আশায় ভরা নিশি ভোর,
অহেতুক মিথ্যে আশার ইঁদুর-দৌড়! 
এ যে মনে ধরা সলমাজরির পোষাক, 
ভালো সেই শোকেসেই সাজানো থাক!
বেমানান ছাপরা ঘরে নবরতন হার!
এ শুধুই দিবাস্বপ্নের নজির সার!

             **********

রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০

ঐকতানের আহ্বান

*  ঐকতানের আহ্বান। * 
                -আ,ফ,ম,  ইকবাল॥
 

 

 
 
 
 
 
 
রিয়ে নিরন্তর ঘাম চাষিরা মিটাচ্ছে দেশবাসীর ক্ষুধা,    
সেই চাষিরাই চাইছে আজ দেশবাসীর সঙ্গসুধা। 

হাকিম তো হুকুম নিয়ে ধরে আছেন ভীষন জেদ,    
ঠান্ডা-গরমে মরলে মরুক কৃষক- নেই তার খেদ! 

দু-চার পরম মিত্রের তরে সদা নিবেদিত যাদের প্রাণ,       
তারাই লয়ে আছে ঠিকা- বিপন্ন দেশবাসীর করবে ত্রাণ ! 

এসো তাই দাড়িয়ে যাই পরম স্বজন উৎপাদকের সাথে,   
যাক না হয়ে প্রমাণ- কে ইনসাফ আর কে পুঁজিপতির সাথে। 

সমস্বরে দেশজুড়ে যখন উঠবে প্রতিবাদের একই সুর,      
খুলে বন্ধ কান শুনতেই হবে ঐকতান- সেদিন নয় বহু দূর ! 
                            
                               হাফলং, ডিমা হাসাও।
                                     ২০-১২-২০২০ 

শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

আজকের বাস্তবতা ।

*  আজকের হকিকত। * 
                  -আ,ফ,ম,  ইকবাল॥ 

(C)Image:ছবি



 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
জনপদের পসরা আমরা  
কাঁচাপাকা ঝুপড়িতে নিবাস,    
বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিয়ে    
বিষাক্ত করে তবে ফেলি নিঃশ্বাস !   ‌ 
ক্লান্তির ঘোড়ায় চেপে মোরা   
শান্তি খুঁজি মহা উল্লাসে,    
বিজয়ের ফুল্লতায় কভু  
পেছনে তাকাই ফিরে ত্রাসে !   
করিনা পরোয়া কারো     
উদাত্ত কণ্ঠে ঝরাতে বিষ-বাণ,   
ত্রাতা হয়ে বিদ্বিষ্টদের    
দ্বারে দ্বারে গিয়ে করি ত্রাণ!    
মাথায় যদি কোনোওক্রমে      
মুকুট একটি তুলে নিতে পারি,    
মর্কট-নৃপতি নিজেরে ভেবে    
খুব সদ্ব্যবহার করি তার-ই !      
ভুলে যাই ভুবনের নশ্বর চরিত্র     
নদী আর সময়ের স্রোত থাকেনা বসে,‌‌     
নিচে করে হাহাকার ক্ষুধিত জীব-    
ডালে বসে গান গাই চিত্তের উল্লাসে ! 

                            হাফলং, ডিমা হাসাও,  
                                  ১৯-১২-২০২০   

বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

মলিন মুজরা


 



 
 
 
 
 
 
 
 
।। সিক্তা বিশ্বাস ।।


অন্ধ গলির জলসাঘর
মাদক নেশায় নিশি ভোর, 
ব্যতিক্রমী মায়াডোর
কত মঞ্জিমার আর্তস্বর!

দিনের আলোয় ভুল গলি
চাঁদের আলোয় ঝলমলি... 
গোলাপ আতর জুঁই বেলি
ইন্দ্রজালে ফুলকলি!

অযাচিত যত অচেনা সোহাগ
অসহ্য  কত আঁচড়ের দাগ! 
বেরঙিন কত সোহাগী ফাগ
অশ্রুত যত অভিসারী রাগ!

অপহৃত কত মৌন যৌবন
কত অভাগীর বাধ্য-সমর্পণ! 
সলিল সমাধি সাধ ও স্বপন
অবলুপ্ত ক্রমে কত মুঞ্জরণ! 
 
               ***********

বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০

যদি জন্ম নিতে হয়

।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।।

 (C) Image:ছবি

দি ফিরে আসি আরো একবার

যদি আবারো আমাকে জন্ম নিতে হয়
আমাকে জন্ম দিও এই শহরেই।
এখানে আকাশ, বাতাস, জলাজমি
                        আর কাদা মাটি জুড়ে
অদ্ভুত আঁশটে গন্ধ।
জল থৈ থৈ উঠোনে
রাজহাঁস পাতিহাঁসের একছত্র দাপাদাপি --,
কাক বিড়ালের যুদ্ধ, জলফড়িংএর নাচ --
জীবন্ত শৈশব, আমার রোজনামচা।
যদি জন্ম নিতেই হয় আরো একবার --
আমাকে জন্ম দিও এই শহরেই।

এখানে পথ জুড়ে পীচ, পরতের পর পরত
বাড়িগুলো ক্রমাগত খাদের দিকে ছুটছে,
অনেকটাই আমাদের মানবিকতার মতো
ক্রমাগত তল থেকে তলানির স্রোত।
চওড়া রাস্তা জুড়ে ডিপার্টমেন্টের ঘা,
আবর্জনার স্তূপে ভোলানাথের দল,
আর অতিসাধে জিইয়ে রাখা ষাঁড়ের লড়াই।
শেষ মানেই খেল খতম।
এখানে সব হারিয়ে ছাগলের তৃতীয় ছানা --,
নতুন করে গজিয়ে ওঠা কিছু স্ট্রীটডগ -
সব এই শহরেই।
এখানেই পার্কের অভাব--, রাস্তা জুড়ে পার্কিং --,
ঊর্দির গায়ে সর্দির দাগ --,
লন ছেড়ে আন্দোলন চায়ের পেয়ালায়,
তবু দিনের শেষে অভিযোগ বস্তা বন্দি,
নিজেকে নিঃশেষ ক'রে "তিন্নাথের সেবা",
এ আমার অতি আদরের শহর।
জন্ম যদি নিতে হয় আরো একবার
আমাকে জন্ম দিও এই শহরেই।

এখানে রাজনীতি মানেই হিন্দু-মুসলমান
অসমীয়া-বাঙ্গালী, আর বিদেশি খেদাও "নারা" ,
প্রতিশ্রুতির ললিপপে বঞ্চনার মাইলস্টোন
আর আশায় আশায় ঢেউ গোনা।
এ আমার গর্বের শহর।
এখানেই শাক নিয়ে দর কষাকষি চলে
ভোট কেনাবেচা হয় গ্লাসে,
বিজ্ঞাপনে চোখ ঝলসায়
               মগজ ধোলাই ভাষণে।
যদিও নিঃশ্বাসে বিষ 
              আর হৃদয় জুড়ে চাটুকারিতা আমার কিন্তু ভীষণ পছন্দ --
যদি জন্ম দাও, তবে এই শহরেই দিও।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

বাংলা কবিতা:'তিয়াস'

===তিয়াস===
===========

ঝোড়োমেঘ
(সিক্তা বিশ্বাস) 
১৪/১২/২০ইং
হায়দ্রাবাদ। 

শ্রাবণ ধারা হলো সারা
কোথায় হারিয়ে কবিমন! 
কমলা সুখের শীত-আমেজে
খুঁজি যে তোমায় অনুক্ষণ! 

গদ্যে, পদ্যে, তালে, ছন্দে,
ভক্ত যেমন পরমেশ্বরে বন্দে, 
তেমনি ছিলে খেয়ালী স্পন্দে
কাব্য সুখের নিত্যানন্দে। 

তুমি যে ছিলে কাব্যপ্রাণ
একাগ্রচিত্তে সাধনে অম্লান... 
কোন খেয়ালে হঠাৎ লুপ্ত! 
বিষয় বস্তু কি এতোই গুপ্ত!? 

আকুলি-বিকুলি ভকতের প্রাণ
সাধনায় সম্মত দিতে বলিদান
কৃপাসিন্ধু দাও বরদান
মরু-হৃদয়কে কর মরুদ্যান।

কত ভাবোদয় আজও বাকি
চাতক হৃদয়ের পিয়াস মেটে কি!?
স্ফটিক জলের আশ যেমন
তোমারই জন্য তিয়াস  তেমন!!

           ************

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

বাংলা কবিতা:'সফর'

===সফর===
==========

ঝোড়োমেঘ
(সিক্তা বিশ্বাস) 
১২/১২/২০ইং, 
হায়দ্রাবাদ। 

জীবন যে ভাই চলতি গাড়ি
দেয় যে কেবল বয়স পাড়ি
এ যে ভিন্ন স্বাদের নানান যোগান... 
জ্ঞান বর্ধক বিশেষ বরদান...

সুখদ যাত্রায় মন পসন্দ সঙ্গি চাই... 
পলে পলে খুশির জোয়ারে ভাসা চাই... 
অজান্তেই আশাপূর্ণ হৃদয়টাই... 
পূর্তিতে আমেজি পুরো সফরটাই...

যাত্রার প্রতিটি মোরে নতুন যাত্রী
নানান কাহিনীর পাত্র-পাত্রী... 
ক্ষণিক আবেগের দোলায় ভাসা... 
ফুরোলে পাড়ি পুনঃ ভিড়ে মেশা! 

হঠাৎ মেলে প্রাণের দোসর... 
নেশায় কাটে কত যে প্রহর... 
আশা ভরসার স্বপ্নীল বাসর
হিসেব কষার নেই অবসর!

কখনো বা ঠিকানা বদলায়
সুখের টানের নতুন আশনায় ! 
এ পথের যাত্রী ও পথে যায়!
অজানা নতুন চুম্বকের নেশায়... 

              **********

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

আমি কৃষক নই!

(C)Image:ছবি


 

 

 

 

 

 

।। মিঠুন ভট্টাচার্য ।।

 
সকালের ঘুম চোখে,
আলোকবার্তায় মিশে
তি্থি্ , তি্থি্ আওয়াজ ছিল
বাড়ির স্কুলঘন্টা।
আবার
উঠোন জুড়ে ধানের ছড়া
মুখচাপা গরুর সুশৃঙখল খেলা -
এ পর্য্যন্ত ছোট্টবেলার
কৃষি পরিক্রমা।
বড় হবার সময় -
কুয়াশা বেলায়
যখন পরীক্ষা শেষ
ধানকাটা জমিতে ক্রিকেট মাঠ,
শহরমুখো গ্রামের
অগুন্তি সুনীল, কপিলদের ভীড়
শেষ আলো থাকা অব্ধি।
যোগসূত্রের নাড়ীতে
এতটুকুই কৃষি উদযাপন।
আজকাল
চাল ডাল শাক-সবজি কিনে খাই ।
চাকরি করি মাইনে পাই।
দিন গুজরানে বেশী আর কী চাই?
হীরক রাজের মগজ ধোলাইতে
বৈজ্ঞানিকের কি আর দরকার আছে ভাই ?

৮ ডিসেম্বর ২০২০

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০

ইচ্ছে করে

(C)Image:ছবি





         
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
   ।।   আ,ফ,ম, ইকবাল ॥

চ্ছে করে চলে যেতে সেই শিশুটির কাছে- 
জানেনা যে পাপ-পুণ্যের কোনোও সমাচার, 
হ্যাঁ, সেই শিশুটির কাছে 
শিরনী নিতে যে এগিয়ে যায় সবার আগে ! 
টিকে যে থাকতে চায়না 
একই জায়গায় বহুক্ষণ ধরে;
তর সয়না কভু তার পেছনের কাতারে ! 

কান্না-হাসির নেই যার রাখঢাক 
চাওয়া পাওয়ার নেই কোনো মাপকাঠি 
মৌসুম পরিবর্তনে কভু 
নয় সে চন্দ্র সূর্যের মুখোপেক্ষী  
হাসিতে যার দেয় সবে সঙ্গ 
যার কান্নায় সকলের খুশি দেয় রণভঙ্গ !  

একটি শিশুর সেই হাসি-কান্না 
তার মান-অভিমান 
তার সময়ের ব্যারোমিটার 
সামলে রেখেছিলাম বহুকাল 
পুঁটুলি বেঁধে,  
মনভবনের এক কোনায় ! 
জানিনা কোথায় তা হারিয়ে গেছে 
খুঁজে ফিরি আজও তারে 
দ্বারে দ্বারে 
ভুবন মাঝারে ! 
                ০৫-১২-২০২০ 

               হাফলং, ডিমা হাসাও ।

আম্ফান

 
(C)Image:ছবি

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।


সাফাই বিভাগের একজন কর্তাব্যক্তি
এক অতিথির সাথে প্রাতঃভ্রমনে --
যেদিকেই যান মোড়ে মোড়ে আবর্জনা স্তূপ
এক মেঘ কুন্ঠা নিয়ে উনি বিড়বিড় করে বললেন,
"এত চেষ্টা করি তবু --"
আমি তখন ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে,
বললাম, এ লজ্জা আপনার নয় সাহেব,
                                     আমাদের।
আপনার তবু বোধটুকু আছে
                    আমাদের তাতেও তলানি।

মলের সামনে প্রায় উলঙ্গ মহিলাটি বসে
ভিড় ঠাসা কামাতুর চোখেও 
                                 ‌আশ্চর্য নির্লিপ্ততা
অযত্নে অবক্ষয়ের এক প্রতিমূর্তি
কারো মেয়ে সে, বোন কিংবা হয়তো কারো মা।
মলের ঠিক সামনেই সিঁড়িতে বসা।
হাটের মতো খোলা দুটো বুক --
এখন সেখানে জৈষ্ঠ্যের খরা,
কোন এককালে সেও স্রোতস্বিনী ছিল
কাল গেলেও কালিমা থেকে গেছে।
সাবানহীন একখন্ড কটিবন্ধন
এককালে শাড়ি কিংবা গামছা ছিল হয়তো
সুযোগের ফায়দা নিয়ে সেও প্রতিবাদী,
এতটুকু অসতর্কতায় ঝড়ের ঝাপটা আনে।
একদল নতুন তরুণ মজা নিচ্ছিলেন
অথচ মহিলাটি আশ্চর্য রকম নির্বিকার।
আমার সাথে চোখাচোখি হতেই কেন জানিনা
লজ্জা কূন্ঠার চাদর চাপিয়ে দিলে গায়ে।
আমি নিমেষে চোখ নামিয়ে বললাম
এ লজ্জা তোমার নয়, আমাদের।
তুমি তবু শরীরে উলঙ্গ মা, আমরা যে মনে!

সকালে কাগজ খুলেই শিউরে উঠল বুক
নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না কিছুতেই।
খবরের কাগজে আস্থা রাখিনা কোনকালেই
ওদের উদর জুড়ে ভেজাল চাল 
                      আর সারের ফুলকপি ।
তবু যদি তার খানিকটাও সত্যি হয়
ঈশানের মেঘ শুধু তোমার জন্য নয় "গোমস্"
আম্ফান সবার জন্যেই আসছে।

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০

ভোল


(C) Image:ছবি
 
  



'সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে।'
সুতরাং পুরুষ তুমি থাকো সিংহাসনে!
আমার 'আমি' ছেড়ে দিলে সংসারে সুখ নিশ্চিত! 
তাই বলে কি সেল্ফ ক্যায়ারে লাপাত্তা হওয়া উচিত!?
ইচ্ছেমত সেল্ফ ক্যায়ার, নারী পারেনি করতে শেয়ার! 
যৎসামান্য প্রকাশ পেলেই 
নিন্দের ঝাঁপি চিরকালেই!
রীতির জন্যে মানুষ যে নয়, 
মানুষের জন্যেই রীতি হয়! 
তবে কেন দায় চাপানো!? 
বিপরীতে কেবল চোখ রাঙানো!
বাঁধ ভেঙে নারী যখন দাঁড়িয়ে সমান্তরালে
বাধ্য হয়েই কানাঘুষা আড়ালে আবডালে!
লোক দেখানো ভাওতাবাজি! 
নারী জাগরণে পূর্ণোদ্যমে রাজি! 
বিবাহ বিচ্ছেদের হার আঙুল দেখায়! 
এ ও পিঠ-পিঠেতে চাকুবাজি! 
ভোল পাল্টানো সমাজের এই তো কারসাজি!

                   *************