“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০

নবীন প্রতিশ্রুতি

 
        ।। আ,ফ,ম,  ইকবাল॥












বিষাদের কঙ্কালগুলো পড়ে আছে 
এখানে ওখানে, সর্বত্র 
সকল মহাভূমে,প্রত্যেক মহাদেশে 
নিধন হত্যায় মেতে
নিরত ছিল যারা শক্তি প্রদর্শনে 
কোথায় তারা আজ ? 
হিরোশিমা নাগাসাকি মধ্যপ্রাচ্য 
হাল আমলের সিরিয়া- 
একই জিজ্ঞাসা সবার ! 

কোথায় সেই শক্তিধরেরা- 
ফুৎকারে যারা উড়িয়ে দিতে পারে 
যারা লক্ষ তাজা প্রাণ 
অজস্র সবুজ বৃক্ষ লতাগুল্ম 
সাগরের বুকে ছড়িয়ে অঢেল বিষ 
চলে যাদের শক্তির পরীক্ষণ ? 
সামুদ্রিকেরা তো মানুষ নয়, 
শুধুই প্রাণ ! 

আকাশের অশ্রুতে  
জমা পড়ে আছে যে কালো রেখা 
ছোপ ছোপ দাগ 
কে নেবে তার দায়ভার ? 
ঋতুর ঘটিয়ে ছন্দপতন 
মেতে উঠেছিল যারা উল্লাসে 
কোথায় তারা আজ ? 
এক্সটিঙ্কটিং প্রজাতির 
প্রাণী সংরক্ষণের চলছে নাটকীয়তা 
স্থিতির দায়ভার নেবার 
আছে কোথাও কেউ ? 

একটি অনুজীবের  
মোকাবেলায় যারা অসামর্থ্য 
তারাই নেবে সামগ্রিক 
মানুষের সুরক্ষার ভার ? 
না, 
মানুষ জয়ী হবে অবশেষে 
ধারণ করে বুকে 
মানবিকতার আলখাল্লা 
নিজেরাই তৈরি করবে 
পরিশুদ্ধ পথের দিশা 
নিজেদের দশা 
প্রকৃতির ধর্মেই গড়ে উঠবে 
নবীন যুগের 'মানুষ' ! 
 

কোন মন্তব্য নেই: