“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০২০

রক্তস্নাত উত্তরাধিকার


  ।। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।।
(C)Image:ছবি

 
 
 
 
 
 
 
হারিয়ে যাওয়া ছবিগুলো কোলাজ হয়ে
ফিরে এলেই হারাই খেই,
স্বচ্ছতোয়া নদীর মতোই নিরেট সোনায় মোড়া
ছবি নয় যেন জ্যান্ত উপাখ্যান।
বনবাদাড়ে কুড়িয়ে পাওয়া জ্বালানি কাঠ
কলসী কাঁখে হাঁফিয়ে ওঠা ফুসফুস আর
নিত্যদিনের ধার দেনার উচ্ছিষ্ট চালকণা।
এমনি করেই দিবানিদ্রায় গড়ে ওঠে
প্রজন্মের উত্তরণ আর সুখের ভবিষ্যৎ।
তিলে তিলে সঞ্চিত আশা গড়ে ভিত,
গড়ে ওঠে সুখ স্বপনের আস্তানা -
অজানা মানচিত্রে স্থাপিত হয় আস্ত নতুন দেশ।
অচেনা পড়শি বাড়ায় ভরসার দুটি হাত
দেনা পাওনার দিন যাপনে কেটে যায়
অগুনতি সব ঝঞ্ঝাবাহিত দুঃস্বপ্নের রাত।

আজ খেলা ভাঙার নতুন খেলায়
প্রশ্নচিহ্নে ব্যতিব্যস্ত রক্তস্নাত উত্তরাধিকার।
পান্তা ফুরানো বিস্মৃত নুনের উদ্যত অপমানে
এবার গোখরো হয়ে হানবো ছোবল,
ভাঙব যত ব্যর্থ অহংকার।

কোন মন্তব্য নেই: