“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

এই ভারতবর্ষটি আমি জানি

 ।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।

(C)Image:ছবি


 

 

 

 

 

 

 

ই ভারতবর্ষটি আমার খুব চেনা

ওদের মুখে মাস্ক নেই, তাই চেহারাটি মলিন বটে,

সেনিটাইজার কিনবে তেমন পয়সাও নেই,

তবু বিশ্বাস করুন, এখনো ওরা ভাইরাস মুক্ত - 

দেহে কিংবা মনে। আমি ওদের চিনি।

 

জীবনটা যতদূর জানি ,

              ওদের সংকোচের ঘেরাটোপে

একটা লক্ষণ গণ্ডীতে আবদ্ধ

মনটাকে তবু মুক্ত রেখেছে ওরা ;

শিশুর পায়ে সেই বিশাল জুতোটির মতো

                                            ওদের ক্ষুধা

প্রয়োজনের চেয়েও অনেকটাই সীমিত।

 দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে দিতে পারবে

কিন্তু হাত পেতে চাইতে জানে না, আমি জানি।

সহজে কাঁদে না, যদি কাঁদে কখনো

চোখের কোনায় ঝরে মুক্তোর দানা।

 

আমি সেই বোধ হ‌ওয়া থেকেই চিনি ওদের,

যেদিন জীবনের প্রথম পাঠ নিয়েছিলাম,

কবিতার প্রথম অক্ষরটি লিখেছি,

সেদিনই প্রথম পিলসুজগুলো নজর কাড়ে।

জঞ্জাল ছাড়া জীবন আর সং হীন সংসার -

যেমন ভাবতে পারি না কখনো, তেমনি ওরাও।

ওরা আছে তাই এখনও অক্সিজেন পাচ্ছি,

পৌরসভার জলে ওরা বস্তা বস্তা চুন।

 

আসলে ওরা আছে তাই এখনও 

                               বাঁচতে ইচ্ছে জাগে,

এখনো অতর্কিতে গঙ্গাস্নান করি

             ‌‌                     অকৃত্রিম বিশ্বাসে।

 


 

 

কোন মন্তব্য নেই: