“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০

শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে

 ।। মিঠুন ভট্টাচার্য্য।। 


(C)Image:ছবি



 

 

 

 

 

থের দিকে পায়ে পায়ে এগিয়েছিল চাষাদের মিছিল।
আমি যাইনি,
কারণ আমি মেধাচাষী।
প্রতিরোধ বিজ্ঞানের তত্ত্ব -
প্রতিরক্ষা থেকে কয়লা খাদান।
কেউ বললে
এ তো পিছিয়ে পড়ার অপসংস্কৃতি।
আমি ভাবি --
এসব হাভাতেদের কাজ।
খবরে সংবাদ পেলাম
কিছু কবি, শিক্ষক, স্বঘোষিত মানবপ্রেমী
গ্রেপ্তার।
অভিযোগ রাষ্ট্রপাচারের।
মনে হল,
"এমন কথা এমনি কাউকে বলে না,
নিশ্চিত একটা ব্যাপার আছে। "
এবারে সামনে এল-
কিছু ছাত্র,
অপমানিত গোত্রহীন বিদ্বজন
সংবিধানের শব্দছুরি নিয়ে
প্রান্তে প্রান্তে
আগুনতাপে নির্বীজ মন্ত্রে।
হীরক রাজা বলেন--
এটা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র
প্রতিবেশীদের।
আমার চিন্তায় -
ধার দেওয়া মগজে
জড়বুদ্ধির বিক্রিয়া নিশ্চয়।
কাল নাকি আবার
"ভারতমাতা বাঁচাও "
এ কি অলুক্ষণে কথা,
করনাকালে বেশ বেঁচেবর্তে আছি!
মাথা ঝিমঝিম করছে।
আমি কি শাসকের
যাদুমন্ত্রে মগজহারা ?
না, নিজ থেকে পালিয়ে
আপাত মৈথুনে আনন্দরত ?



৮ অগাস্ট ২০২০










কোন মন্তব্য নেই: