“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৯ মে, ২০১৫

রবীন্দ্রনাথকে

"দূরে কোন শয্যায় একা কোন ছেলে
বংশীর ধ্বনি শুনি ভাবে চোখ মেলে,
যেন কোন যাত্রী সে রাত্রি অগাধ,
জ্যোৎস্না- সমুদ্রের তরী যেন চাঁদ"----


যখন ছিলাম মেয়েবেলার মেয়ে,
নিজেকে যোনি ওঁ জরায়ুর সমষ্টি বলে জানতে পারিনি,
ওই ছেলেটার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে,
কোন এক অগাধ রাতে
জ্যোৎস্না- সমুদ্র আকাশে চাঁদের নৌকো বেয়ে
মেঘেদের ঘাট ছুঁয়ে ছুঁয়ে
বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে হত, জানেন আপনি ,রবীন্দ্রনাথ?
কখনো বা মনে হত, চাঁপার রেণু গায়ে মাখি,
বাজাই রাখালের সঙ্গে বেণু বনে বনে ঘুরে ।
সবাই বলল, আপনি ছেলেদের কথা লিখেছেন,  কোন মেয়ের কথা নয়।
মেয়েদের হতে নেই চঞ্চল, সুদূরের পিয়াসী,
হিসেবের, মাপের, বাঁধা গন্ডীর বাইরে বেরিয়ে পড়ার ইচ্ছে করতে নেই
আগলভাঙ্গা বাঁধন হারা নির্ঝরের মতো ।
শিষ্যা আর সহচরীর বেশি কিছু হতে নেই----
কিন্তু মর্ষকামীদের ভিড়ে অর্জুনই বা কোথায় কেউ তা বলল না ।

লক্ষ্মী বা উর্বশী কোনোটাই যে  মেয়ে হতে চায়না,
যে সন্ধ্যায় গৃহদীপ  জ্বালেনা,
মনভোলানো সজ্জায় মোহিনী হতে চায় না,
কিন্তু ছাদে উঠে দেখে তারারা কিভাবে আকাশে দীপ জ্বালায়,
দেখে রকেট ছুটেছে উল্কার মতো,
হয়তো নিজেই ছুটে নিরুদ্দেশে মহাকাশযানে,
কখনো বা ভস্মীভূত হয়ে  ছড়িয়ে পড়ে ব্রহ্মাণ্ডের কোণে কোণে,
কখনো বা বিজয়িনী হয়ে মাটিতে  নেমে আসে,
তেমন মেয়ে কি এসেছিল আপনার কল্পনায় ?
 

কোন মন্তব্য নেই: