“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

ন্যাড়া পুজার রাতে



হোলির রং মেখে আছে সারা শহর, পূর্ণিমার প্রহর শেষে ন্যাড়া পুজার সন্ধ্যায়, প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে, নামহীন শিশুর দল।
পরের সারিতে তাঁদের মায়েরা
বুকের কাপড় সরে গেছে ইচ্ছেকৃত

এবার পর্দা উঠবে শেক্সপিয়র সরণীর,

ন্যাড়া পুজার পর আগুন লাগবে শরীরে, সাঙ্গ হলে নারায়ন শীলার প্রদক্ষিণ
পতিতার শরীর এভাবেই পোড়ে রাতভর।
কে জানে পাঞ্চালি কতবার পুড়েছিল!

বসন্ত ছায়া ঘনিয়ে এসেছে এই মহল্লায়, একে একে পান্ডবপুত্রেরা সব জুতো
খুলে ঢুকবে এবার ঘরে।

জ্বলছে ন্যাড়া ঠাকুরের খড়ের শরীর
ঘুরছে পৃথিবী, ঘুরছি আমি, ঘুরছে ন্যাড়া ঠাকুরের শরীর রাতের আকাশে

ঘুরছে সভ্যতা এভাবেই গত তিনশ বছর ধরে এক পতিতাপল্লীতে
পৃথিবীর সবচেয়ে সভ্য শহর কলকাতায়।

কোন মন্তব্য নেই: